আমার কন্টেন্ট তৈরি করার পেছনে প্রাইমারি গোল থাকে আপনাদের সাহায্য করা। আমি সব সময়ই চাই সকলকে প্রযুক্তির কাছা কাছি রাখতে এবং ভাল কিছু উপহার দিতে । আর একারনেই আমি আমার ব্লগে, ফেসবুক গ্রুপে এবং ইউটিউব চ্যানেলে প্রতিনিয়ত কন্টেন্ট শেয়ার করে থাকি। ফেসবুকে শেয়ার করা কন্টেন্ট গুলো যাতে হারিয়ে না যায়, তাই আপনাদের জন্য ফেসবুকে শেয়ার করা ছোট ছোট টিপস গুলোকে এখানে রেখে দিচ্ছি। শুধু আপনাদের জন্যই … <3
চলুন দেখে নেয়া যাক..
টিপস: ০১
সবাই বলে কমিউনিকেশন স্কীল ডেভেলপ করতে, আর আমরা বেশির ভাগ মানুষ ধরে নেই, কমিউনিকেশন স্কীল ডেভেলপ করা মানেই হচ্ছে ইংরেজী স্কিল ডেভেলপ করা। আমরা যারা গ্লোবাল মার্কেটে কাজ করছি, তাদের আসলে ইংরেজী স্কিল ডেভেলপ করা ছাড়া বেটার কেরিয়ার নিশ্চিত করাটা কষ্টসাধ্য। তবে ইংরেজী স্কীল ডেভেলপ হওয়া আর কমিউনিকেশন স্কিল ডেভেলপ হওয়া দুইটা দুই জিনিস।
ধরেন, আপনার ক্লায়েন্ট আপনাকে বললো, আপনার রেইট অনেক বেশী। আপনার উত্তর কেমন হতে পারে?
আমার রেট কোথায় বেশি?
আমার রেট বেশি না।
আমার রেট বেশিই, কাজ করলে করেন না করলে না করেন
নাকি আপনি তাকে ডিপ্লোমেটিক ওয়েতে বলবেন,
ধন্যবাদ, আসলে শুরুতে শুরুতে অনেকের কাছেই আমার রেটটাকে বেশি মনে হয়েছে, কিন্তু আসলে আমরা এই এই সার্ভিস গুলা দিয়ে থাকবো, আর এই এই গাইডলাইন গুলা মেইন্টেইন করবো, যা আপনার প্রজেক্টে এই এই ভাবে সাহায্য করবে। এর চাইতে কম রেটে আসলে আমরা ভ্যালু এড করতে পারবোনা।
এটা শূধু একটা উদাহরন ছিল, আসলে মুল কথা হচ্ছে, ক্লায়েন্ট কি বলতে চাচ্ছে তা সহজে বুঝতে পারার ক্ষমতা অথবা আপনি কি বুঝাতে চাচ্ছেন তা সঠিক এবং প্রফেশনাল ভাবে বুঝাতে পারাটাই হচ্ছে কমিউনিকেশন স্কীল।
টিপস: ০২
উদ্যোক্তাদের বেশির ভাগ সময় একসাথে অনেকগুলা টুপি পড়তে হয়। ম্যানেজমেন্ট হতে শুরু করে সেলসমেন পর্যন্ত। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তাদের পুজি বলতে থাকে দুইটা জিনিস।
১) স্বপ্ন এবং
২) লেগে থাকার অভ্যাস।
অভিজ্ঞতা, অর্থ সবই হয় হোচট খেতে খেতে। তবে যে যত বেশি গোছানো, তার পথচলাটা তুলনা মুলক ভাবে ততটা কম কষ্টের হয়। প্রতিটা মাসের শুরুতেই যদি সেই মাসের এক্সপেকটেশন, গোল, প্লান, স্ট্র্যাটেজিগুলাকে ড্রাফট করে ফেলা যায়, তাহলে তা এচিভ করার সম্ভাবনাটা বেড়ে যায়। আর ড্রাফট করার জন্য, ট্রেডিশনাল / ডিজিটাল যেকোন একটা পদ্ধতি ফলো করলেই হয়। তবে গোল সেট করা যত সহজ, তা পুরন করা তত সহজ না।
টিপস: ০৩
প্রফেশনাল সফলতার জন্য বই পড়ার বিকল্প নেই। তবে বাংলাদেশ থেকে বাইরের লেখকদের বই কালেক্ট করা কিছুটা কষ্টকর। যদিও রকমারি আছে, তারপরেও অনেক সময় কিছু কিছু বই পেতে পেতে ২ মাস লেগে যায়।
কিন্তু এমন কিছু টুল আছে, যেই টুল গুলো দিয়ে আপনি মোস্ট পপুলার বই গুলোর সামারাইজড ভার্শন পড়তে / শুনতে পারবেন। এমনই একটি এপ হচ্ছে Blinkist
আমি ব্যাবহার করছি গত কয়েক মাস ধরে, আমার কাছে ইফেক্টিভ মনে হয়েছে। আপনারাও চেষ্টা করে দেখতে পারেন 🙂
টিপস: ০৪
আনলিমিট কনে ইমাম ভাই বলেছিলেন “কন্টেন্ট ইস কিংডম।” গতকাল ফেসবুক অফিসিয়াল কুসাগ্রা সাগার বলেছেন “কন্টেন্ট ইস ফিউচার।”
একটু ভেবে দেখেন, আমরা ওয়েবে কি করি? ফেসবুকে আমরা যা দেখি তা কন্টেন্ট। যেই কন্টেন্ট গুলো ভাল লাগে তার সাথে এংগেইজ হই। আবার কিছু কিছু কন্টেন্ট ভাইরাল হয়ে যায়, যা তাদের মার্কেটিং ক্যাম্পেইনে সাহায্য করে।
গুগলে আমরা যা খুজি তা হচ্ছে কন্টেন্ট। এমনকি যখন কোন পন্য খুজছেন তখনো আসলে কন্টেন্ট ই খুজছেন, পন্যের ইমেইজ, ইনফরমেশন, ভিডিও ইত্যাদি।
তাই যারা ডিজিটাল যুগ নিয়ে ভাবছেন, ডিজিটাল যুগে ব্যাবসা করছেন আপনাদের অবশ্যই কন্টেন্ট নিয়ে ভাবতে হবে।
টিপস: ০৫
প্রফেশনাল ইন্ডাস্ট্রিতে আমরা অনেক কিছুই শুনি, অনেক নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে কাজ করি। বেশির ভাগ সময় নতুন আইডিয়াগুলো কাজ করে না। তাই আমরা আর সেই কাজটাকে আর পুনরায় চেষ্টা করি না। অথবা আরো একবার চেষ্টা করি। কিন্তু রিয়েলিটি হচ্ছে নাথিং ওয়ার্কস। প্রথম বার অথবা এর পরে আরো কয়েকবার কাজ করবে না। কিন্তু ৮-১০ বারের মধ্যেই হয়ত এটা কাজ করে। তাই নতুন কোন স্ট্র্যাটেজি এট লিস্ট ৮/১০ বার চেষ্টা না করে জাজমেন্টে যাওয়াই উচিত হবে না।
টিপস: ০৬
প্রফেশনাল লাইফে আমাদের সবসময় শুধু ডিসিশন নিতে হয়। নতুন নতুন ডিসিশন। এটা করা যেতে পারে, ওটা করা উচিত হবে না, এখন যা করছি তা বন্ধ করা উচিত ইত্যাদি। আমাদের নেয়া ডিসিশন গুলোর মধ্যে ৮০ ভাগ ডিসিশন হয় ভুল হয় না হয় খুব একটা ইফেক্টিভ কিছু হয় না। ২০ ভাগ ডিসিশন কাজ করে, আর আমাদের সেগুলোকেই স্কেল আপ করতে হবে।
টিপস: ০৭
আমরা যারা ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে ভাবছি, অথবা ডিজিটালি নিজের বিজনেসটাকে প্রমোট এবং গ্রো করতে চাচ্ছি তাদের জন্য আসলে ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরির বিকল্প নেই। প্রতিদিন আমরা ফেসবুকে কি দেখি? কন্টেন্ট 🙂 ইউটিউব, ইন্সটাগ্রাম, ব্লগ সহ সব চ্যানেলেই আসলে কন্টেন্ট এর ছড়াছড়ি। কোন কন্টেন্ট হয় এডুকেটিভ ইন নেচার, কোন কন্টেন্ট এন্টারটেইনিং। কন্টেন্ট গুলোর সাথে মানুষ তখনই এংগেইজ হয় যখন তার মনে হয় কন্টেন্টটি ভাল এবং তার প্রবলেম / ইন্টারেস্ট এর সাথে কানেক্টেড।
আবার কন্টেন্ট তৈরির ক্ষেত্রে কনসিস্টেন্সি অনেক গুরুত্বপুর্ন। তাই আমাদের একটি এডিটরিয়াল ক্যানেলন্ডার দরকার। এডিটরিয়াল ক্যালেন্ডার অনেক ভাবেই তৈরি করে ফেলা যায়। প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট টুল গুলো ব্যাবহার করে, গুগল ক্যালেন্ডার ব্যাবহার করে। আবার আমরা যদি buffer app অথবা hootsuit এর মত কোন টুল ব্যাবহার করি সেখানেও সোশ্যাল চ্যানেল গুলোর জন্য এডিটরিয়াল ক্যালেন্ডার তৈরি করে ফেলা যাবে 🙂
টিপস: ০৮
আমাদের মস্তিস্ক ইনকমপ্লিট কাজগুলাকে তুলনামুলক ভাবে ব্রেইন এ বেশিক্ষন স্টোর করে রাখে। উদাহরন হিসেবে আপনারা যেকোন রেস্টুরেন্টের ওয়েইটারদের বিহেভিয়ার খেয়াল করে দেখতে পারেন। বিল হবার আগ পর্যন্ত তার স্পষ্ট মনে থাকে আমরা কি কি খেয়েছি। বিল দিয়ে দিন। তারপর ওখানে বসে আরো দশ মিনিট আড্ডা দিন। তারপর তাকে প্রশ্ন করুন, আমরা যেন কি কি খেয়েছিলাম? বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তারা সেটা পুরাপুরি মনে করতে পারবে না। কিন্তু বিল দেয়ার আগে ৩০ মিনিট গল্প করেন, তারা ভুলবে না। এটাকে Zeigarnik effect বলা হয়।
আমরা ব্লগ লিখার সময় এরকম হয়। কি নিয়ে লিখবো, কোন আইডিয়া নিয়ে লিখবো তা খুজে পাওয়া যায় না। কঠিন মনে হয়। তাই আর লিখাই শুরু করা হয় না। কিন্তু আপনি যদি আকডুম বাকডুম দিয়েও লিখা শুরু করে দেন, দেখবেন তারপর এইদিক সেইদিক দিয়েই আইডিয়া চলে আসতেসে, লিখার একটা স্পীড চলে আসতেসে। এটা ঐ Zeigarnik effect এর ফল। ব্রেইন পেন্ডিং / ইনকমপ্লিট পোর্শনটাতে বেশী ফোকাস করে।
উদাহরনঃ আমার এই স্ট্যাটাস, কি লিখবো কি লিখবো থেকে এই স্ট্যাটাস এর উৎপত্তি। তাই এসইও, লিখা লিখি, ইত্যাদি ইত্যাদি যাই করতে চাচ্ছেন, শুরু করে দেন 😀 বাকি পথ এমনিতেই বের হয়ে যাবে।
টিপস: ০৯
Frame of Reference
আমরা অনেক সময় আমাদের প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিসের মার্কেটিং করার সময় অন্য কোন প্রোডাক্ট এবং সার্ভিসকে রেফারেন্স হিসেবে দেখাই। যেমন ধরেন, আমাদের এই এন্ড্রয়েড ফোন আপনাকে আই ফোনের ফিলিং দিবে। তারমানে এখানে আমার প্রোডাক্ট হয়ত আই ফোনের মত অতটা এক্সপেনসিভ না। আর আমি এটাও শিকার করে নিচ্ছি যে আইফোন অনেক ভাল ফোন। এখন আমার স্ট্র্যাটেজি অথবা ইউএসপি হচ্ছে, ক্রেতাকে বুঝানো, যে আপনি যদি কম বাজেটে আই ফোনের এক্সপেরিয়েন্স পেতে চান, তাহলে আমার ফোনটাই বেস্ট।
এটা একটু প্রুভেন মেথড, বেশির ভাগ নতুন ব্রান্ড তাদের শুরুর দিকে এই Frame of Reference নিয়ে কাজ করে থাকে। এটাতে তাদের ইনিশিয়াল রিচ বাড়ানো সহজ হয়ে যায়। কেননা তারা কোন একটা এক্সিসটিং রেপুটেড ব্র্যান্ডকে ব্যাবহার করছে ডিরেক্টলি অথবা ইন্ডিরেক্টলি।
টিপস: ১০
একটি আইডিয়া আসলে পার্থক্য তৈরি করে না, পার্থক্য তৈরি করে তার এক্সিকিউশন। কঠিন কঠিন সব আইডিয়া জেনারেট করা খুবই সহজ। নিমিশেই তৈরি করা যায়। কিন্তু সহজ সহজ আইডিয়াগুলো এক্সিকিউট করাটাও অনেক কঠিন কাজ।
তাই আইডিয়া তৈরি নিয়ে বেশি না ভেবে, কিভাবে এক্সিকিউট করা যায় তা নিয়ে ভাবা উচিত। আবার এক্সিকিউট করতে গেলে যে সমস্যা গুলো আসবে তা থেকেই আসলে নতুন স্কীল ডেভেলপ করা যায়। নতুন স্কীল ডেভেলপ করা গেলে ভবিষ্যতে তাও সেল করা যায়, সেই স্কীলকে কেন্দ্র করে নতুন আইডিয়া জেনারেট করা যায় এবং তা এক্সিকিউট করা যায় 🙂
টিপস: ১১
কিছু কিছু বেপার থাকে যা আমরা আসলে জানি। কিন্তু বার বার ভুলে যাই। অথবা ফোকাস হারিয়ে ফেলি। এটাও আসলে স্বাভাবিক। তাই এর ভাল সলিউশন হচ্ছে এমন কিছু করা, অথবা সিস্টেম তৈরি করা, যা এই সমস্যা থেকে বের হতে, অথবা কমাতে সাহায্য করবে।
এটা হতে পারে চোখের সামনে এমন কিছু রেডি করে রাখা, যা আমাকে ফোকাস ধরে রাখতে সাহায্য করবে।
এমন মানুষদের সাথে চলা ফেরা করা যারা, আপনাকে ফোকাস ধরে রাখতে সাহায্য করবে। যারা গঠন মুলক, পসিটিভ এবং হেল্পফুল মেন্টালিটির।
আপনাদের মধ্যে এমন কেউ কি আছেন, যে মনে করেন আমার এক্সিসটেন্স আপনাদের কেরিয়ারে পসিটিভ ভুমিকা রাখছে?
টিপস: ১২
ওয়েবের মজার দিক গুলোর মধ্যে একটা হচ্ছে এখানে অলমোস্ট সবার জন্যই কিছু না কিছু আছে। বড় বিজনেসের জন্য যেমন অনেক টুল আছে, তেমনি ছোট বিজনেসের জন্য অনেক ফ্রী রিসোর্স আছে। তাই আপনি সেই রিসোর্স গুলো সম্পর্কে জানলে শুরুর দিকে অনেক টাকাই সেভ করতে পারবেন।
যেমন বিজনেস একাউন্ট এবং ইনভয়েসিং সিস্টেমের জন্য WaveApps অনেক ইফেক্টিভ একটা টুল।
মোবাইল ডিভাইসের ব্যাবহার যেহেতু প্রতিনিয়ত বাড়ছে তাই তারাও তাদের ইনভয়েসিং সিস্টেমের জন্য মোবাইল এপ তৈরি করেছে। এখন অন দি গো তেও আপনি অনেক কাজ করে নিতে পারবেন।
টিপস: ১৩
আপনার প্রতিটা মার্কেটিং এফোর্ট এর পেছনে আপনাকে সময় এবং টাকা দুইটাই বিনিয়োগ করতে হয়।
কিন্তু একটু ডিসিপ্লিন ওয়েতে এইটা করলে হয়ত লং টার্ম ব্যান্ডিং এডভান্টেইজ পাওয়া যেত। তাই আপনারা যারা এখনো এই ভাবে ভাবছেন না, তারা কিন্তু এক সময় পিছিয়ে পরবেন।
আবার ব্র্যান্ডিং শব্দটা শুনলেই আপনার মনে হতে পারে আমার ব্র্যান্ডের নাম সবার কাছে পৌছাতে হবে। এটাও সঠিক নয়। এক এক ধরনের ব্যবসার জন্য আপনার প্লান এক এক রকমের হবে। আপনার প্লানটাও আপনার টারগেট কাস্টমারদের মাথায় রেখে করতে হবে।
টিপস: ১৪
ওয়েবে বিজনেস করতে গেলে অথবা টিম ম্যানেজ করতে গেলে দুইটা টুল আমাদের কম বেশি লাগেই, একটা হচ্ছে স্ক্রীনশট নেয়া আরেকটা হচ্ছে স্ক্রীন রেকর্ডিং সফটওয়ার।
অনেক আগে ব্যাবহার করতাম Jing. এখন এই টুলটা আর নেই। Camstasia মোস্ট পপুলার একটা টুল। কিন্তু এক্সপেনসিভ। তাই অনেকেই ক্রাক ভার্শন ব্যাবহার করে।
আমি ব্যাবহার করি সেইম একটা টুল, অলমোস্ট সেইম ফাংশনালিটি, কিন্তু অনেক এফোরডেবল। টুলটার নামে হচ্ছে স্ক্রীনকাস্ট ও মেটিক http://bit.ly/2B8KKrO
ওদের ফ্রী ভার্শন দিয়েই অনেক নিড ফিলয়াপ হয়ে যাবে। যাদের এডিটর এবং ওয়াটার মার্ক ছাড়া ভিডিও দরকার তারা পেইড ভার্শনটা ব্যাবহার করতে পারেন। মাত্র ১৫ ডলার / ইয়ার।
টিপস: ১৫
আমার লিস্টে অনেকেই হয়ত আছেন যারা সার্ভিস প্রোভাইড করছেন। তারমধ্যে অনেকেই শুধু মার্কেট প্লেস অথবা ফোরাম কেন্দ্রিক। এই দুই যায়গাতেই অসংখ্য কাজ আছে। যা হয়ত আপনার কেরিয়ার চ্যাঞ্জ করে দিতে পারে। আবার মার্কেট প্লেসের বাইরেও একটা বিশাল জগত আছে, যেখান থেকে আপনি অনেক কাজ ম্যানেজ করতে পারবেন।
আমাদের এক এক জনের সার্ভিস অথবা প্রোডাক্টের ধরন এক এক রকম। অনেকের প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিস ওয়ান টাইম কেন্দ্রিক। অনেকেরটা রিকারিং। যেমন আমাদের এসইও সার্ভিস রিকারিং। একবার একটা প্রজেক্ট ক্লোস হলে লম্বা সময় কাজ করা যায়।
এখন কেরিয়ারের সফলতা আসবে তখনই। যখন আমাদের পর্যাপ্ত ক্লায়েন্ট থাকবে। ক্লায়েন্ট থাকা মানে ফান্ড থাকা, ফান্ড থাকা মানে অক্সিজেন থাকা। আমাদের চারপাশে যারা সফল তারা এই কারনে সফল যে তার বিজনেসে পর্যাপ্ত ক্লায়েন্ট ছিল। যারা স্ট্রাগল করছে তারা এই কারনে করছে কারন তাদের কাজ নেই।
তাই আমাদের সবার উচিত, নিজের স্কীল গুলোর সাথে সাথে ক্লায়েন্ট একিউসিশন সিস্টেমের উপর নলেজ রাখা। কিভাবে একটি ক্লায়েন্ট একিউসিশন সিস্টেম তৈরি করা যায়। কিভাবে এটা কাজ করে। কখন এটা মোডিফাই করা উচিত।
টিপস: ১৬
অবশেষে Canva এর এন্ড্রয়েড এপ চালু হল!
যারা জানেন নাঃ
ইন্টারনেট প্রফেশনাল যারা গ্রাফিক ডিজাইন জানেন না, তাদের জন্য Canva হচ্ছে সবচাইতে সহজ সলিউশন। এই টুল দিয়ে সহজেই হাই কোয়ালিটি ওয়েব ভার্ষনের জন্য ইমেইজ তৈরি করে ফেলা যায়। এর IOS এপ অনেক আগে থেকেই চালু থাকলেও এন্ড্রয়েড এপ কিছু দিন আগেই চালু হল 🙂
টিপস: ১৭
প্রোপার গ্রোথের জন্য আমাদের ডাটা এনালাইসিস এ মনযোগি হতে হবে। আবার ডাটা এনালাইসিস করার জন্য আমাদের কোয়ান্টিটি নিয়ে ভাবতে হবে। তাই আমরা প্রতি মাসে যদি একটি কোয়ান্টিটিভ গোল সেট করি তাতে আমাদের প্রোডাক্টিভিটি বাড়বে।
যেমন ডিসেম্বর মাসে আমি –
=> ৪ টি নিউ ব্লগ পোস্ট লিখবো
=> ১০,০০০ ভিজিটর এনশিউর করবো
=> … ৳ এর কাজ ম্যানেজ করবো
ইত্যাদি ইত্যাদি……
একাধিক প্রজেক্ট থাকলে প্রতিটার জন্যই একটা করে মান্থলি প্লান রাখা উচিত। এতে করে প্রতিটা প্রজেক্টকেই ট্র্যাক করা যাবে।
টিপস: ১৮
কর্ম ক্ষেত্রে সবার বন্ধু হওয়া জরুরি না হলেও সবার সাথে বন্ধু শুলভ আচরন করাটা জরুরি। বন্ধুশুলভ আচরন আপনাকে অনেক ভাবেই সাহায্য করবে, যেমনঃ
-সবার সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন করতে।
-অনেক ধরনের বিতর্ক এড়িয়ে যেতে।
-টিম হিসেবে বেশি প্রোডাক্টিভ হতে।
-যেকোন দরকারে কাছের মানুষগুলর কাছ থেকে সাহায্য এবং মতামত পেতে।
আমি আমার ক্যারিয়ার এর শুরু থেকেই এই বেপারটা মেইনটেইন করে আসছি, ঠিক মেইনটেইন না, আমার নেচারটাও বোধহয় এমন। তবে কখনো কখনো বেতিক্রম ও হওয়া লাগতে পারে, এবং তখন আপনাকে আপনার বন্ধুশুলভ আচরন থেকেও সরে আসতে হতে পারে।
টিপস: ১৯
“ad hoc basis” এই শব্দটার সাথে কে কে পরিচিত ছিলেন?
পরিচিত না থেকে থাকলে আমি পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি।
ad hoc basis বলতে আসলে সেই কাজ গুলোকে বুঝায় যেগুলো আগে থেকে প্লান করা না, কোন কারনে এখন করতে হচ্ছে। অথবা আগে থেকে প্লান করা থাকলেও ক্ষেত্র বিশেষে করা লাগে। যেমন ধরেন আপনি একটা মার্কেটিং প্রজেক্টে কাজ করছেন। হঠাৎ করে কন্টেন্ট রাইটার চলে গিয়েছে, এখন হয়ত আপনাকে কিছু কন্টেন্ট লিখতে হবে। এটা হচ্ছে ad hoc basis. আবার ধরেন আপনি একজন গ্রাফিক ডিজাইনার হায়ার করলেন, যার মুল কাজ ওয়েবের জন্য কন্টেন্ট তৈরি করা, কিন্তু তার ad hoc basis এ প্রিন্টিং এর জন্যও কন্টেন্ট তৈরি করা লাগতে পারে।
এটা তেমন গুরুত্ব পুর্ন কিছুনা, তবে হঠাৎ করে মনে পড়াতে আপনাদের সাথে শেয়ার করা। প্রথম দিকে আমিও এই শব্দটা শুনে মনে করেছিলাম এটা আবার কি?
টিপস: ২০
কোন একটা সেলস প্রপোসালে যখন কেউ আপনাকে না বলবে, তখন বুঝতে হবে এই না টা আপনার জন্য না, এটা হচ্ছে আপনার স্পেসিফিক প্রপোসালের জন্য। হয়ত আপনার প্রপোসালটা তার পছন্দ হয় নি। আবার অনেক সময় এমন হয় প্রপোসাল তার পছন্দ হয়েছে, কিন্তু এই সময়টা তার জন্য সঠিক নয়। হয়ত অন্য সময় আপনি এই প্রপোসালটা করলে সে হ্যা বলে দিত।
তাই কেউ আপনাকে না বললেই এটা ধরে নেয়ার কিছু নেই যে সে আর কখনো হ্যা বলবে না। সে আপনাকে না বলেনি, আপনার স্পেসিফিক প্রপোসালটাকে না বলেছে
টিপস: ২১
সফল উদ্যোক্তা অথবা মার্কেটার হবার জন্য সবার প্রথমে যেই গুন গুলো রপ্ত করা উচিত, তার মধ্যে একটা হচ্ছে এনালাইটিক মাইন্ড সেট। আমাদের অবশ্যই এনালাইসিস করা উচিত, কি কাজ করে, কি করে না, কিভাবে কাজ করে কিভাবে করে না। আবার কোনটা বেশি কাজ করে কোনটা কম।
ধরেন আপনি একটা লিঙ্ক শেয়ার করবেন, চাইলে শর্ট লিঙ্ক ব্যাবহার করতে পারবেন। এতে করে আপনি আইডেন্টিফাই করতে পারবেন কত জন আপনার এই লিঙ্ক ক্লিক করেছে। ভিন্ন ভিন্ন ধরনের কন্টেন্ট শেয়ার করে ডাটা এনালাইসিস করতে পারেন। আবার ধরেন একই কন্টেন্ট তিনটা গ্রুপে শেয়ার করবেন, তিনটা শর্ট লিঙ্ক ব্যাবহার করেন। তারপর ক্লিক ডাটা দেখেন। কোন গ্রুপ থেকে বেশি ট্রাফিক পেয়েছেন, এংগেইজমেন্ট পেয়েছেন। এই ডাটা গুলো আপনাকে সাহায্য করবে বেটার স্ট্র্যাটেজি তৈরি করতে।
BTW, আপনারা কে কে ডাটা এনালাইসিস করেন?
টিপস: ২২
একজন সফল প্রফেশনালকে দুরদর্শী হতে হয়। তবে বর্তমান থেকে ফোকাস হারানো যাবে না। বর্তমান থেকে ফোকাস হারালে দুরদর্শী হবার পরেও স্ট্রাগল করতে হয়। আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য বর্তমান সময়টার পরিপুর্ন ইউটিলাইজ এনশিউর করতে হয়। অন্যথায় গোল রিচ করা কষ্টকর হয়ে যায়। আমরা ভবিষ্যতে কোথায় থাকবো, তা আমাদের বর্তমানের কাজের উপর নির্ভর করবে। তাই বর্তমান থেকে ফোকাস হারিয়ে ভবিষ্যতের গোল রিচ করা বেশির ভাগ সময় কষ্টকর হয়।
টিপস: ২৩
আমরা বড় বড় স্বপ্ন দেখি কিন্তু কাজ করি না এরকম কথা আমরা হর হামেসাই বলে থাকি, বিশেষ করে জাতিগত তুলনা করার সময়। তবে এই প্রফেশনাল জার্নিতে আমার অবজারভেশন ভিন্ন কথা বলে। আমি দেখেছি আমাদের মধ্যে ৮০ ভাগ মানুষের স্বপ্নই অনেক ছোট থাকে, তাই কাজ করলেও রিটার্ন অল্পই আসে, আর না করলেতো অল্প আসবেই আমিও এই ৮০ ভাগ মানুষের মধ্যেই আছি
টিপস: ২৪
আইডিয়া পথে ঘাটে, বনে জংগলে, অফিসে, মার্কেটে যে কোন যায়গাতেই হুট করে মাথায় চলে আসে। আবার তা হুট করে হারিয়েও যায়। তাই আমাদের উচিত আইডিয়াটা মাথায় আসার সাথে সাথেই লিখে ফেলা। মোবাইলের নোট সেকশনে নোট করে রাখলেই হয়। অন্যথায়, কয়েক ঘন্টা পর মনে হবে, কি যেন তখন ভাবলাম, কি যেন মনে করলাম, ধুর মনে আসতেসে না আমাদের সবারই কম বেশি এমন হয়
টিপস: ২৫
যে কিছু করে তার ভুল হয়, যে কিছু করে না তার ভুল হয় না। আবার যে কিছু করে তাকে ইথিক নিয়েও ভাবতে হয়, আমি যা করছি তা কি ইথিকাল? আমি যা বলছি তা কি সত্যি? আমি আমার সাময়িক লাভের জন্য অন্য কাউকে ঠকাচ্ছিনা তো! ফাইনানশিয়াল সফলতার জন্য অনেকেই এই ইথিকের ধার ধারে না, আর তারা ফাইনানসিয়াল ভাবে সফল হয়। তবে মনের মধ্যে এক ধরনের অপুর্নতা থাকার কথা যদি মন পাথর হয়ে গিয়ে না থাকে।
প্রফেশনাল লাইফে আমাদের জার্নিটা যতটুকু কঠিন মনে হয় ততটা কঠিন না, আবার যতটা সহজ দেখানো হয় ততটা সহজো না। তবে হ্যা, মোশন ইস প্রোগ্রেস। আমরা যদি আমাদের গোল আইডেন্টিফাই করতে পারি, আর তারপর কাজে লেগে যেতে পারি তাহলে রাস্তাটা একটু দেরিতে হলেও খুজে পাওয়া যায়। ঐ যে, কাজ করলে ভুল হবে, ভুল থেকে শেখা যাবে, তারপর আবার কাজ করলে ভুল কম হবে, এবং একসময় সফলতা চলে আসবে। এটাই রকেট সাইন্স
টিপস: ২৬
এসএমই থেকে কর্পোরেট সেক্টরে মুভ করতে চাইলে সবার প্রথমে যেইটা দরকার, সেটা হচ্ছে কর্পোরেট মাইন্ডস্ট। আমি প্রতিনিয়ত এই মাইন্ড সেট তৈরি করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি, অনেকটাই ডেভেলপ হয়ে গিয়েছে। আপনাদের কি অবস্থা?
টিপস: ২৭
বড় ব্র্যান্ড গুলার মার্কেটিং বাজেট বেশি থাকে, তাদের মার্কেটিং টিম যথেষ্ট দক্ষ এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হয়ে থাকে। তারা অনেক বেশি A/B টেস্ট করে থাকে। তাই তাদের এপ্রোচ একটু ফলো করলে আপনি আপনার বিজনেসের মার্কেটিং প্লান তৈরি করার আইডিয়া পেয়ে যাবেন।
ফেসবুক একটি ইউজার জেনারেটেড কন্টেট প্লাটফর্ম। তাই তারা চায় বেশি বেশি কোয়ালিটি কন্টেন্ট তৈরি হোক। আবার কোয়ালিটি কন্টেন্ট তৈরি হোক চাইলেইতো আর হবে না, তাই তারা বিভিন্ন ডাটা দিয়ে তাদের ইউজারদেরকে এডুকেটেড করতে চায়। তাদের ইউজার যত এডুকেটেড হবে, তাদের প্লাটফর্ম তত বেশি রিচ হবে।
আপনি আপনার টারগেট কাস্টমারকে এডুকেটেড করার মত কিছু করছেন কি?
টিপস: ২৮
আমরা কি করি আর আমাদের প্রোডাক্ট কি করে দুইটা দুইভাবে আপনাকে ভাবাবে। ধরেন, আমি ডিজিটাল মার্কেটিং সার্ভিস দেই। এটা ধরে যদি আমি ভাবি, তাহলে আমার মাথার মধ্যে এক রকমের চিন্তা আসবে, প্লানিং আসবে।
আবার আমার সার্ভিস, আমার ক্লায়েন্টকে বেশি সেল জেনারেট করতে সাহায্য করে, এই কথাটা চিন্তা করলে আমার মাথায় আরেক ধরনের চিন্তা আসবে, প্লানিং আসবে। আমার প্রোডাক্ট / সার্ভিস আসলে কি করে, এটা যত ভাল ভাবে আমি আইডেন্টিফাই করতে পারবো, আমার মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি তত বেশি ইফেক্টিভ হবে। তত বেশি ROI জেনারেট হবার সম্ভাবনা থাকে।
টিপস: ২৯
আমাদের বিজনেসের ক্ষেত্রে সবসময় আমাদের টারগেট মার্কেট এক যায়গাতে স্ট্যাবল থাকবে না। এটা মাইগ্রেট হয়। অথবা অন্য ভাবে বললে বলতে হবে, আপনার একটা মাইগ্রেশন স্ট্র্যাটেজি থাকা লাগতে পারে।
যেমন ধরেন, আপনি আজকে সার্ভিস দিচ্ছেন এসএমই বিজনেস গুলোকে। তারমানে এটা আপনার বর্তমান টারগেট মার্কেট। আপনার যাবতীয় প্লান তাদেরকে ঘিরেই হবে।
এখন আপনি যানেন, আপনার আগামি কালের টার্গেট মার্কেট হচ্ছে কর্পোরেট ফার্ম। তারমানে আপনার ফিউচার স্ট্র্যাটেজি গুলো তাকে ঘিরেই তৈরি হতে হবে।
মার্কেটিং এ একটা কথা আছে, মিলনিয়ার বাই ফ্রম মিলনিয়ার। তারমানে আপনার কালকের টারগেট মার্কেট যদি হয় কর্পরেট ব্র্যান্ড, তাহলে আপনাকেও ওভাবেই প্রস্তুতি নিতে হবে। ওভাবেই ভাবতে হবে।
টিপস: ৩০
একই জিনিশ আমরা এক এক জন এক এক ভাবে দেখি। যেমন ধরেন, কেউ দেখে মিস্টেক, কেউ দেখে লেসন। আবার কেউ দেখে ওয়ার্ক লোড, বিরক্ত, কেউ দেখে নতুন কিছু শেখার সুযোগ।
টিপস: ৩১
আমরা যদি এমন কোন কিছু অর্জন করতে চাই, যা আমরা এর আগে অর্জন করিনি। তাহলে আমাদের এমন একজন হতে হবে, অথবা এমন একজনের মত করে ভাবতে হবে, যা আমরা আগে ভাবিনি / হইনি। ইংরেজীতে বললে এভাবে বলতে হবে, ইফ ইউ ওয়ান্ট টু এচিভ সামথিং, ইউ হ্যাভেন্ট এচিভড বিফর, দ্যান ইউ উইল নিড টি বি সামওয়ান, ইউ হ্যাভন্ট বিন বিফর।
তারমানে মাইন্ড সেটাপটা অনেক বেশি গুরুত্ব পুর্ন। উদ্যোক্তা হতে হলে সবার প্রথমে যেটা লাগবে, সেটা হচ্ছে উদ্যোক্তা মাইন্ডসেট। আবার একই ভাবে এসএমই থেকে কর্পরেট ইন্ডাস্টিতে ঢুকতে চাইলেও, আপনাকে কর্পরেট মাইন্ড সেটাপ তৈরি করতে হবে, তাদের মত করে ভাবতে হবে।
টিপস: ৩২
আমরা অনেক সময় অনেক প্রোডাক্টিভ থাকার পরেও স্ট্রাগল করি, এর পেছনের মুল কারন হচ্ছে প্রায়রিটি না বোঝা অথবা সে অনুপাতে কাজ না করা।
জানার শেষ নাই, যতই জানবো, ততই মনে হবে আরো কত কিছু জানার আছে। কিন্তু সফল যারা আছেন, তাদেরকে যদি একটু এনালাইসিস করেন তাহলে দেখবেন তারা কাজকে খুব ভাল ভাবে প্রায়টারাইজড করতে পারেন। যেমন ধরেন, আমার এখন এক ক্লায়েন্টকে একটা রিপোর্ট সেন্ড করা দরকার, একই ভাবে ব্লগে একটা নতুন পোস্ট করা দরকার, ওয়েবসাইটের ল্যান্ডিং পেইজটাকে রিডাজাইন করা দরকার। প্রতিটা কাজই দরকার, তবে সবগুলার আরজেন্সি লেভেল হয়ত এক রকম হবে না। ব্লগ পোস্টটা ৩০ মিনিট পরে পোস্ট করলেও হয়ত তেমন মেজর কোন ডিফরেন্স হবে না। একই ঘটনা হয়ত ল্যান্ডিং পেইজ রিডিজাইনের ক্ষেত্রেও। রিপোর্টটা আগে পাঠানো দরকার। কিন্তু আমি হয়ত করছি তার উল্টাটা। এর মানে হচ্ছে আমি প্রোডাক্টিভ, আমি সময় নষ্ট করছি না, কাজটাও ঠিক ঠাক ভাবেই করছি, কিন্তু আমার রিটার্নটা হয়ত একই অনুপাতে আসবে না। কেননা আমি কাজটাকে প্রায়টারাইজড করতে ভুল করেছি।
টিপস: ৩৩
আমরা কম বেশি সবাই USP এই শব্দটার সাথে পরিচিত। আমরা সবাই জানি বিজনেস গ্রোথ অথবা ফ্রীল্যান্সিং এর ক্ষেত্রেও আপনার একটা USP থাকা উচিত। আমাদের সর্বদাই সেই যায়গাটাতে কাজ করে যাওয়া উচিত, যাতে সেখানে আরো বেশি দক্ষতা অর্জন করা যায়, আরো বেশি ভ্যালু এড করা যায়।
তবে দুর্ভাগ্য জনক হলেও এটা সত্যি, আমরা অনেকেই এই যায়গাটাতে উদাসিন।
তাই, আমাদের উচিত কাগজ কলম নিয়ে যার যার USP লিখে ফেলা, এবং কাজ শুরু করে দেয়া।
টিপস: ৩৪
থিওরী অফ মাইন্ড, এটা নিয়ে একটা ডিটেইল পোস্ট লিখার প্লান ছিল, কিন্তু এডিটরিয়াল ক্যালেন্ডারে এড করতে ভুলে গিয়েছিলাম। আজকে যোগ করলাম।
তবে এখানে কন্সেপটাকে একটু ছোট করে আবার শেয়ার করছি।
ধরেন, আমি অফিস থেকে বাসায় আসলাম, এসে আমার বেটার হাফকে বললাম, তোমার জন্য আজ একটা সারপ্রাইজ গিফট নিয়ে এসেছি। সে কি করবে? সে হয়ত আমার পকেটের দিকে তাকাবে। হয়ত পকেট চেক করবে। তারপর হয়ত আমার ল্যাপটপের ব্যাগটা নিবে, তা খুলে দেখার চেষ্টা করবে গিফটটা সেখানে আছে কিনা। সে কি করতে পারে, এই বেপারটা আমি অনুমান করতে পারছি। এটাকে বলা হয় থিওরী অফ মাইন্ড।
সেইম কন্সেপ্টটা মার্কেটিং এও এপ্লাই করতে হয়। বিশেষ করে সেলস প্রেসেন্টেশনে। আমাদের অনুমান করে নিতে হয়, প্রসপেক্ট কি ধরনের চিন্তা করতে পারে, কি ধরনের প্রশ্ন করতে পারে, তার কি ধরনের অবজেকশন থাকতে পারে। আপনি যত ভাল এবং গভীর ভাবে এটা প্রিপেয়ার করতে পারবেন, আপনার প্রস্তুতিটাও ততটাই ভাল হবে। কনভার্শন হবার রেট ততটাই বেড়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে।
টিপস: ৩৫
আমরা সবাই প্রফেশনালি কোন না কোন যায়গাতে স্ট্রাগল করে থাকি। যে কোন সমস্যার সমাধানের প্রথম ধাপ হচ্ছে বিশ্বাস করা যে এখানে আমার সমস্যা আছে, এবং আমার ইম্প্রুভমেন্ট স্কোপ খোজা উচিত। আমরা অনেক সময় এই কাজটাই করতে চাই না।
আবার যখন আমি আমার সমস্যা সম্পর্কে ধারনা রাখি, তখন সমাধান পাবার পরের ধাপ হচ্ছে প্রশ্ন করা। নিজেকে নিজে প্রশ্ন করা।
১) কেন এই সমস্যা হল?
২) কত টুকু ড্যামেজ তৈরি হল এই সমস্যার কারনে?
৩) রিকভার করার রাস্তা কি হতে পারে?
৪) কোন কোন যায়গাতে কাজ করা লাগতে পারে?
৫) কতটুকু রিসোর্স দরকার হতে পারে, কোথা থেকে পাওয়া যেতে পারে ইত্যাদি?
আমাদের উচিত হচ্ছে এইগুলো লিখে ফেলা, এবং একশন প্লান তৈরি করা। একজন প্রফেশনালের ফেইল করার পিছনে একশন প্লান তৈরি না করাটা হচ্ছে অনেক বড় একটা কারন। আমরা একা একা কাজ করলে অনেক সময় এগুলো উপলব্ধি করি না, তবে কাজের লোড বাড়া অথবা গ্রোথ এনশিউর করার সময় তা ভাল ভাবেই টের পাওয়া যায়।
টিপস: ৩৬
আমরা অনেকেই নতুন কিছু টেস্ট করতে ভয় পাই। এটা হতে পারে ইমেইল টেমপ্লেট, মার্কেটিং চ্যানেল, কন্টেন্ট স্ট্রাকচার ইত্যাদি। মার্কেট প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। মানুষের নিড, বিহ্যাভিয়ার, পার্চেস করার ধরন, এঙ্গগেইজমেন্ট হ্যাবিট সব কিছু পরিবর্তন হচ্ছে। তাই ২ বছর আগে যা কাজ করতো এখন সেটা নাও করতে পারে। এখন এর চাইতে বেটার সলিউশন ইনভেন্ট হয়ে থাকতে পারে অথবা ইনভেন্ট করার সুযোগ থাকতে পারে।
তাই একজন প্রফেশনাল হিসেবে নতুন কিছু টেস্ট করার অভ্যাস তৈরি করতে পারাটা দরকারি। এ/বি টেস্টিং সবসময় গুরুত্ব পুর্ন।
টিপস: ৩৭
টারগেট অডিয়েন্স সম্পর্কে যত বেশি তথ্য আপনার কাছে থাকবে তত বেশি সেলস জেনারেট করা সম্ভব। আর এ কারনেই ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রতি প্রতিষ্ঠানগুলো মনযোগ দিতে বাধ্য হচ্ছে। একজন ইন্ডিভিডুয়াল প্রফেশনাল হিসেবে আপনার ক্ষেত্রেও ফরমুলাটা একই।
টিপস: ৩৮
চলার পথেই অনেক আইডিয়া খুজে পাওয়া যায়। কোন আইডিয়া নতুন বিজনেস ডেভেলপ করতে সাহায্য করতে পারে, আবার কোনটা হয়ত এক্সিস্টিং বিজনেসের গ্রোথ বাড়িয়ে দিতে পারে। কোন আইডিয়া আবার কোন নির্দিষ্ট সমস্যার সমাধান করতে পারে। মাথায় আইডিয়া আসার সাথে সাথে আমরা অনেক খুশি হই, কিন্তু মজার বেপার হচ্ছে আমরা কিছুক্ষনের মধ্যেই বেশির ভাগ আইডিয়া ভুলে যাই। এটাই স্বাভাবিক। সবার ক্ষেত্রেই কম বেশি এমনই হয়।
যারা সফল, তাদের মধ্যে বেশির ভাগ প্রফেশনালের একটা কমন স্বভাব আছে, আর তা হচ্ছে আইডিয়া গুলো লিখে রাখা। এই কাজটা সবচাইতে বেশি করে থাকে ব্লগার অথবা কন্টেন্ট মার্কেটার। লিখে রাখার সুবিধা হচ্ছে আপনি এখন ভুলে গেলেও কখনো না কখনো আবার তা খুজে পাবেন, তা নিয়ে কাজ করার সুযোগ পাবেন।
লিখে রাখার জন্য ছোট কলম এবং কাগজ যেমন সাথে রাখতে পারেন, আবার মোবাইলেও নোট সেকশন অথবা কোন এপ ব্যাবহার করে লিখে রাখতে পারেন।
টিপস: ৩৯
আমরা অনেকেই কষ্ট করি, কিন্তু উলটা পালটা ওয়েতে কষ্ট করতে পছন্দ করি। যেমন অনেকেই আছেন, হাজি বিরিয়ানি ফ্যামাস দেখে একই নামে দোকান খুলে, যাতে মিস লিড করা যায়। একই কেস নান্নার ক্ষেত্রেও। ঘরোয়ার সাথে সাথে আবার দেখলাম মতিঝিলের ঘরোয়া নামেও একটা আছে পুরান ঢাকায়।
মিস লিড করাটা যদিও নতুন কিছুনা, তবে আমরা একটু বেশি বেশিই করি হয়তো। খাবারের দোকানের মার্কেটিং ট্রিক্স যত ভালই হোক, খাবার ভাল না হলে লাভ নেই। তখন হাজির বিরিয়ানির ক্ষেত্রেও মানুষ বলে, এই যায়গার হাজির বিরিয়ানি ভাল না, ঐ যায়গারটা ভাল, চলেন ওখানে যাই।
অথচ আমরা যদি মিস লিডিং এর চাইতে নিজের ব্রান্ড ভ্যালু বাড়ানোর জন্য কাজ করি, তাহলে শুরুতে একটু কষ্ট বেশি হলেও পরবর্তিতে অনেক বেশি রিটার্ন জেনারেট করা যায়।
টিপস: ৪০
প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট টুল হিসেবে Asana বরাবরই আমার প্রথম পছন্দ। রিকোমেন্ডো করেছি অনেককে। তাদের ক্যালেন্ডার ভিউটা আমার কাছে বরাবইর অনেক বেশি প্রোডাক্টিভ মনে হয়। তারাও প্রতিনিয়ত নতুন কিছুনা কিছু এড করছে, কখনো নতুন ফাংশন অথবা ইউজার ইন্টারফেসে পরিবর্তন আনছে।
আসানার ক্যালেন্ডার ভিউটা শেয়ার করলাম আপনাদের জন্য।
টিপস: ৪১
সফল হবার জন্য কিছু গুন রপ্ত করতে হয়। বেশির ভাগ সফল মানুষদের মধ্যেই ৮০ ভাগ মিল পাওয়া যাবে, তাদের চিন্তা, কাজ করার ধরন, ফেল করলে সেখান থেকে কিভাবে ঘুড়ে দাড়াতে হয় ইত্যাদি।
শচিন টেন্ডুলকারের একটা আর্টিকেল পড়েছিলাম লিঙ্কডইনে, যেখানে উনি উনার ৫ টি স্ট্র্যাটেজির কথা বলেছে যা উনার কেরিয়ার ডেভেলপমেন্টে ভুমিকা রেখেছে।
১) ইগোকে দূরে রাখাঃ
আমরা সবাই কম বেশি ইগো জনিত সমস্যাতে ভুগি। তবে বেশির ভাগ সফল প্রফেশনাল কর্ম ক্ষেত্রে ইগোকে দূরে রেখে কাজ করে যাওয়ার পেছনে বেশি ফোকাস করেছেন।
২) বেশি ভাবার দরকার নেইঃ
আমাদের সবার জীবনেই খারাপ সময় আসে, আমরা ভুল করি, বাজে পারফর্ম করি। মন খারাপ করি। তবে তা ধরে বসে থাকলে মাইন্ড এবং শরীর দুইটাই নেগেটিভলি রেস্পন্স করবে। তাই বাজে দিন / সময় সম্পর্কে না ভেবে কাজ করে যেতে হবে।
৩) নিজের সাথে কথা বলতে হবে অথবা নিজের মনের কথা শুনতে হবেঃ
আমরা যে কোন সমস্যাতে অনেক সমাধান শুনে থাকি মানুষের কাছ থেকে। সবাই যার যার যায়গা থেকে সমাধান দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু আমিই জানি আমি কি চাই, আমার কি আছে আর কি নেই। তাই সবার সমাধান শুনলেও ফাইনাল সিদধান্ত নিজেকেই নিতে হবে।
৪) পার্টনারশিপঃ
সব যায়গাতেই পার্টনারশিপ লাগে। ব্যাটিং, বলিং, সংসার, অফিস, ম্যানেজমেন্ট।’ সফল পার্টনার খুজে পাওয়া গেলে এবং টিম ওয়াইস কাজ করা গেলে সফলতা আসবেই।
৫) সাহায্য চাইতে ভয় পাওয়ার দরকার নেইঃ
শারিরিক সাহায্য এর চাইতেও আমাদের মানষিক সাহায্যের বেশি দরকার হয়, কনসালটেশন দরকার হয়, ফিডব্যাক দরকার হয়, রেফারেন্স দরকার হয়। তাই গোল এচিভ করার জুন্য সাহায্য চাইতে ভয় পাওয়ার দরকার নেই।
টিপস: ৪২
Post Planner এর ডাটা অনুসারে সবচাইতে পপুলার ১০টি হ্যাশট্যাগ হচ্ছে
1. #Love
2. #instagood
3. #me
4. #tbt
5. #cute
6. #follow
7. #followme
8. #photooftheday
9. #happy
10. #tagforlikes
টিপস: ৪৩
কনভার্শন যদি না হয় তাহলে সেই মার্কেটিং ক্যাম্পেইন কোন কাজে আসে না। তাই আমাদের কনভার্শন রেট নিয়ে ভাবতে হয়। আর বেশির ভাগ সেলস ফানেলের প্রথম গোলটাই থাকে লিড কালেক্ট করা। আর ওয়েব থেকে লিড কালেক্ট করার সময় লিড ম্যাগনেট ওয়ার্ড ব্যাবহার করতে হয়।
নিচের উদাহরনটা দেখতে পারেন। In Record Time এই শব্দটা সাইকোলজিকাল একটা ডিফরেন্স ক্রিয়েট করছে যা কনভার্শন রেট বাড়িয়ে দিচ্ছে।
টিপস: ৪৪
কনভার্শন রেট অনেকটাই নির্ভর করে আপনার কপিরাইটিং স্কিলের উপর। কল টু একশন টেক্সটের উপর। একটা চমৎকার হাই কনভার্টিং কল টুক একশন টেক্সটের উদাহরন দিলাম।
টিপস: ৪৫
আমাদের হাতে যখন অনেক বেশি অপশন থাকে, তখন আমরা বেশির ভাগ সময় কনফিউজড হয়ে যাই। কোনটা নিব। এবং এই কনফিউশনের চক্করে শেষ পর্যন্ত কিছু নেয়াই হয় না। নিউ ইয়র্ক টাইমের একটা রিসার্চ শেয়ার করছি, ক্যালিফর্নিয়ার একটি দোকানে তারা ২৪ ধরনের জ্যাম রেখেছিল। প্রায় ৬০ ভাগ মানুষ সেই জ্যামের কাউন্টারের সামনে দাড়িয়েছিল, কিন্তু জ্যাম কিনেছিল মাত্র ৩ ভাগ মানুষ। একই দোকানে যখন জ্যামের কোয়ান্টিটি কমিয়ে ছয়টা করা হল, তখন মাত্র ৪০ ভাগ মানুষ সেই জ্যামের কাউন্টারের সামনে দাড়িয়েছিল, কিন্তু ক্রয় করেছিল প্রায়৩০ ভাগ মানুষ।
যদিও কিছু কিছু রিসার্চ আবার এটার বিপরিত ডাটা দিয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, বেশি অপশন থাকলে সেল বাড়ে।
আপনাদের কি মনে হয়?
টিপস: ৪৬
সফল যারা আছেন, তারা এমন কিছু করেন যা বিফলরা করেন না। তারা এমন কিছু ভাবেন, যা বিফলরা ভাবেন না। তাই একজন মার্কেটার হিসেবে আমাদের সবার প্রথমে যেটা করতে হয় তা হচ্ছে রিসার্চ। ডাটা কালেকশন। জানার চেষ্টা করতে হয় আমাদের কম্পেটিটররা কি করছেন। কিভাবে করছেন। তাদেরকে আমরা হুবুহু ফলো করবো, অথবা রেপ্লিকেট করবো তা নয়। কিন্তু তাদের এই ডাটা আমাকে সাহায্য করবে আমার নিজের স্ট্র্যাটেজি ডেভেলপ করতে, আগে বাড়তে।
এসইও ক্যাম্পেইনের ক্ষেত্রেও আমাদের দেখতে হয় আমাদের কম্পিটিটররা কোন কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করছে। তাদের ব্যাকলিংক সোর্স। আর এই ডাটা কালেক্ট করার জন্য বর্তমান সময়ে সবচাইতে ভাল টুল হচ্ছে ahrefs। SEMrush এবং Majestic এর ডাটাও যথেষ্ট রিচ।
তাই যারা এসইও নিয়ে কাজ করছেন তাদের এই টুল গুলো ব্যাবহার করা উচিত।
টিপস: ৪৭
কনভার্শন রেট বাড়ানোর জন্য আমাদের সবসময় কিছু ক্লিক ম্যাগনেট ওয়ার্ড ব্যাবহার করতে হয়। নিচে পাঁচটি হাইলি কনভার্টিং ক্লিক ম্যাগনেট ওয়ার্ড শেয়ার করছি।
==> X% off (“25% Off”)
==> Guarantee
==> Lowest Price
==> Free Shipping
==> Overnight Shipping
আপনি কি ধরনের ক্লিক ম্যাগনেট ওয়ার্ড ব্যাবহার করে থাকেন অথবা দেখেছেন?
টিপস: ৪৮
আমার প্রতিষ্ঠান ছোট, তাই আমার কোন সিস্টেম ডেভেলপ করার দরকার নেই, রুটিন মেইন্টেইন করার দরকার নেই, ইত্যাদি ইত্যাদি ধারনাই আপনার অজান্তে আপনার গ্রোথ আটকে দিচ্ছে। আপনার প্রতিষ্ঠান যত ছোটই হোকনা কেন, আপনাকে সিস্টেম ডেভেলপের দিকে মনযোগ দিতে হবে। এছাড়া প্রোপার গ্রোথ এনশিউর করা যায় না। এটা আমার কথা না, আলি বাবার ফাউন্ডার Jack Ma এর কথা। এবার কাজে লেগে পড়ুন।।
টিপস: ৪৯
৬০ থেকে ৭০ ভাগ পাঠকই আসলে মনযোগ দিয়ে লাইন বাই লাইন আপনার পুরো কন্টেন্ট পড়বে না। তারা আসলে কন্টেন্ট স্ক্যান করে থাকে। তাই আমাদের কন্টেন্টকেও এমন ভাবে স্ট্রাকচার দিতে হবে যাতে স্ক্যান করলেও রিডার দরকারি তথ্যটা পেয়ে যেতে পারে। আর এভাবেই হয়ত আমরা আমাদের পাঠকের লাইফে ভ্যালু এড করতে পারবো। সোশ্যাল শেয়ার জেনারেট করতে পারবো।
কিন্তু এর বাইরেও আমাদের ভাবতে হবে কিভাবে আমাদের পাঠককে সাইটে বেশিক্ষন রাখা যায়, কিভাবে তাদের মনযোগ ধরে রাখা যায়। কিভাবে তাদেরকে পুরো পোস্ট পড়তে উতসাহিত করা যায়।
টিপস: ৫০
গুগল এখন বাংলা ভয়েস টাইপিং চালু করেছে, যেখানে আপনি কথা বলবেন আর তা টাইপ হয়ে যাবে তবে উচ্চারন স্পষ্ট হতে হবে। যদিও আমি এখনো ট্রাই করিনি, তবে আপনারা করে দেখতে পারেন 🙂
টিপস: ৫১
‘KAIZEN‘ জাপানি একটা টার্ম। এর মানে হচ্ছে কন্টিনিউয়াস ইম্প্রুভমেন্ট। আমরা প্রতিদিন যদি একটা নতুন কিছু শিখি বছর শেষে আমাদের স্কিল অনেকখানি ডেভেলপ হয়ে যাবে।
আমরা সবাই হয়ত কম বেশি কিছুনা কিছু শিখি প্রতিদিন। শেয়ারিং ইস কেয়ারিং। শেয়ার করলে সবার লাভ হয়। তাই আমি ভাবছিলাম কেমন হয় আমরা যদি প্রতিদিন একটা করে টিপস শেয়ার করি। ১০ জন একটা করে টিপস শেয়ার করলে আমরা প্রতিদিন ১০টা নতুন জিনিশ পাচ্ছি। ধরে নিলাম এর মধ্যে অর্ধেক হয়ত আমি / আপনি আগে থেকেই জানতেন। তাহলে আসলে আমরা পাচ্ছি ৫ টা। মাসে প্রায় ১৫০। এর মধ্যে আমরা অবশ্যই এমন ১০/২০ টা টিপস পাবো, যা আমাদের কেরিয়ার ডেভেলপ করে দিতে পারে।
আমরা কি এক মাসের একটা টেস্টিং চালাতে পারি?
টিপস: ৫২
আমরা বেশির ভাগ সময় ব্যাস্ত থাকি কিভাবে কাজটি করবো তা নিয়ে। কিন্তু আমরা অনেক সময় এটা বুঝতে চাইনা এই কাজটা আমি কেন করবো? দুইটাই আসলে দরকার। কেন করবো না জানলে আমার জন্য ইফেক্টিভ স্ট্র্যাটেজি তৈরি করা কষ্টকর হবে। যার ফলে হয়ত আমি টাস্ক অরিয়েন্টেড সার্ভিস সেল করতে পারবো, কিন্তু মোডিফাই করে তার ভ্যালু বাড়াতে পারবো না।
এসইও প্লাগিন নিয়েই যদি বলি, কিভাবে Yoast প্লাগিন ব্যাবহার করতে হয় তা খুব সহজেই শেখা যায়। অনেকেই তা জানেন। কিন্তু কোথায় কি ব্যাবহার করা উচিত এবং কেন, এই যায়গাটাতেই প্রফেশনাল টু প্রফেশনালের পার্থক্য তৈরি হয়ে থাকে।
তাই আমরা একটা কাজ কিভাবে করবো, তার সাথে সাথে কেন করবো তা জানাও অনেক গুরুত্বপুর্ন। এখানেও আমাদের সময় ব্যয় করা উচিত।
টিপস: ৫৩
বিজনেস ডেভেলপমেন্ট নিয়ে যদি ভাবেন, তাহলে অবশ্যই আপনাকে অটমেশনের দিকে মনযোগ দিতে হবে। ডাটা কালেকশন এবং এনালাইসিসের দিকে মনযোগ দিতে হবে। টেমপ্লেট তৈরির দিকে মনযোগ দিতে হবে।
আপনি আপনার সিস্টেম ডেভেলপমেন্টের জন্য যত মিনিট ইনভেস্ট করবেন তার ১০ গুন সময় সেভ হবে এক্সিকিউশনের সময়।
টিপস: ৫৪
আমি সব জানিনা, তাই সবকিছু নিয়ে কথাও বলিনা।
আমি মুলত একজন ইনবাউন্ড মার্কেটার। কোর এক্সপারটাইজ হিসেবে ব্রেক ডাউন করলে তা হবে এসইও। তাই এসইও নিয়ে একটা ভাল ধারনা রাখি. আর এমনিতেও সাত বছর ধরে একটা ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে থাকলে টুক টাক স্কীলতো ডেভেলপ হয়ই
সার্ভিসটা যেহেতু আমি প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে দিচ্ছি, অথবা সহজ করে বললে যেহেতু টিম নিয়ে কাজ করছি, তাই আমার টিম ম্যানেজমেন্ট স্কীল ডেভেলপ হয়েছে। স্টাডি করেছি, এক্সপেরিমেন্ট করেছি। তাই একটা ইফেক্টিভ স্ট্র্যাটেজি তৈরি করতে পেরেছি যা টিমের গ্রোথ এনশিউর করতে সাহায্য করে থাকে।
যেহেতু ক্লায়েন্ট পাওয়ার কাজগুলো আমিই করতাম, তাই সেলস ফানেল, সেলস কনভার্শন সহ সেলিং স্কিল ডেভেলপ হয়েছে / করতে হয়েছে।
যেহেতু টিমকে আমার প্রতিনিয়ত ট্রেইনয়াপ করতে হয়েছে, তাই বলা যায় একটা মেন্টরশিপ স্কিলও ডেভেলপ হয়েছে, যদিও এই যায়গাতে আমি ছোট বেলা থেকেই ভাল (টিউশন করানোর ফল) ।
আর প্রোডাক্টিভিটি নিয়ে রিসার্চ, এক্সপেরিমেন্ট করছি অনেক আগে থেকেই, তাই এখানেও আমার যথেষ্ট ডিপ নলেজ আছে বলা যায়।
এর বাইরেও টুকটাক অনেক কিছু আছে, যা আমি হালকা পাতলা জানি, কিন্তু হাইলাইট করা / জ্ঞান দেয়া টাইপের কিছু না।
আমি বিগেইনার যারা আছেন, তাদের চাইতে যারা অলরেডি কাজ করছেন, তাদের জন্য কন্টেন্ট তৈরি করে বেশি মজা পাই। আমার মনে হয়, তাদের গ্রোথ এনশিউর না হলে বিগেইনার লেভেলে কাজ করে লাভ নাই, মার্কেট স্যাচিউরেটেড হবে, কাজের কাজ কিছুই হবে না।
BTW, এটা হচ্ছে আমি কে / আমার বলার মত স্কিল কোন গুলো? তা নিজেকে নিজে প্রশ্ন করলে উত্তর যা আসে তাই। আপনিও নিজেকে নিজে প্রশ্ন করতে পারেন, আর এখানে জানাতে পারেন, আপনার কোর / সফট স্কীল গুলো। হয়ত কারো না কারো কাজে লাগতে পারে। অথবা নিজেকেই নিজে নতুন করে ইনভেন্ট করে ফেলতে পারেন
টিপস: ৫৫
একটা সময় ফিচার ফোনের অনেক চাহিদা ছিল। আমিও নোকিয়া ৩৩১০ ব্যাবহার করেছি। এখনো ফিচার ফোনের চাহিদা আছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সেকেন্ডারি ফোন হিসেবে। মার্কেট ট্রেন্ড পরিবর্তন হয়। আর একজন মার্কেটারের কেরিয়ারের টার্নিং পয়েন্টগুলো হচ্ছে এই ট্রেন্ড। এটা যারা শুরুর দিকে ধরতে পারে, তারা অনেকটাই এগিয়ে যায়
টিপস: ৫৬
নলেজ বেসড ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকার জন্য নলেজ ডেভেলপ করার বিকল্প নেই। টিকে থাকতে গেলেই এত কষ্ট, আর যদি ডোমিনেট করতে চান তাহলে?
আসলে বেপারটা খুব সহজ এবং কঠিন। তবে আমি সহজ উপায়টাকেই সহজ করে লিখছি।
=> প্রচুর পড়তে হবে
=> পড়লে জানা যাবে।
=> তারপর একটা একটা করে জানা বিষয় নিয়ে চেষ্টা করতে হবে।
=> চেষ্টা করলেই শেখা যাবে।
=> আর শিখতে পারলেই কাজে লাগানো যাবে, মানে প্রফেশনাল গ্রোথ হচ্ছে।
এখন বলি, আমরা মুলত ফেল করি নিচের এক বাা একাধিক কারনের জন্য।
১) আমি সলিউশনটা জানিনা।
২) আমি জানি, কিন্তু চেষ্টা করি না।
৩) অথবা, আমি চেষ্টা করি, কিন্তু কাজ হচ্ছে না। কেন কাজ হচ্ছেনা তা জানার জন্য আর চেষ্টা করি না।
টিপস: ৫৭
আপনি মিনিয়ন রাশ ইনস্টল করলেন। খেলা শুরু করলেন। দৌড় দিলেন। কিন্তু স্ট্যেজ কমপ্লিট করতে পারলেন না। কারন সামনের প্রতিবন্ধকতাটা আপনি প্রথমবার বুঝতে পারেন নি। পরের বার আবার খেলা শুরু করলেন, এইবার কিন্তু দুরুত্ব একটু বেশি অতিক্রম করলেন, কারন আপনি এখন সম্ভাব্য প্রতিবন্ধকতাটা সম্পর্কে অবগত। খেলতে খেলতে এক সপ্তাহ পর ১০ টা স্ট্যাজ শেষ করে ফেললেন।
প্রফেশনাল ক্ষেত্রটাও এমনই। আপনি প্রথমে আপনার প্লান মত কাজ শূরু করলেন। সব প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে আপনার পুর্ন ধারনা থাকবে না এটাই সাভাবিক। যখন ব্যার্থ হলেন তখন আপনি নতুন প্রতিবন্ধকতা আবিস্কার করলেন। এই প্রতিবন্ধকতা আপনাকে নতুন করে শিখাবে কি ভাবে এই ধরনের প্রতিবন্ধকতা পার করতে হয়। তখন চলার পথে ভবিষ্যতে একই ক্যাটাগরির প্রতিবন্ধকতার সম্মুখিন হলেও আপনি পরের বার আর ব্যার্থ হচ্ছেন না। তাই প্রতিটা ব্যার্থতা আপনাকে নতুন কিছু শিখাচ্ছে। যা আপনার সফলতার সিড়ি হিসবে কাজ করবে।
টিপস: ৫৮
আমি মুলত HubSpot CRM ব্যাবহার করি। এটা ফ্রী। কিছুদিন আগে থেকে অন্য একটা CRM ট্রায়াল বেসিসে ব্যাবহার করছি। এটাও ফ্রী (পেইড ভার্শনও আছে)। আপনারাও চেষ্টা করে দেখতে পারেন। ওদের ইনভয়েসিং সিস্টেমও আছে।
CRM লিঙ্কঃ https://www.bitrix24.com/
টিপস: ৫৯
৪০ ভাগ মানুষ মনে করে থাকে যে সে কো-অপারেটিভ এবং বিশ্বস্ত। একই সাথে তারা এটাও মনে করে, ওপাশের মানুষটা কো-অপারেটিভ এবং বিশ্বস্ত নয়। সাইকোলজিকালি আমরা নিজেদেরকে জাজ করি নিজেদের ইন্টেনশনের উপর ভিত্তি করে। আর অন্যকে জাজ করার সময় যেহেতু আমরা তাদের ভিতরের ইন্টেনশনটা দেখতে পাই না, তাই তাদের একশন দেখে অথবা এটিটিউট দেখে অনুমান নির্ভর একটা জাজমেন্টে চলে যাই।
তাই সেলিং নেগোশিয়েশনের সময় এই বেপারটা মাথায় রেখে স্ট্র্যাটেজি তৈরি করা প্রয়োজন।
টিপস: ৬০
যেই কাজটা করতে দুই মিনিটের চাইতেও কম সময় লাগে, এই ধরনের কাজ গুলো আমাদের জমিয়ে না রেখে, মনে আসার সাথে সাথেই করে ফেলা উচিত। সব বড় বড় প্রফেশনালদের কাছেই আমি এই ধরনের সাজেশন পেয়েছি। কিন্তু আমার এই যায়গাটাতে প্রায় প্রায়ই মিস্টেইক হয়ে যায়। খুব সিম্পল কাজ, হয়ত কোন একটা ইমেইলের রিপ্লাই দেয়া, অথবা একটা ফাইল সেন্ড করা ইত্যাদি। কিন্তু মনে আসার সাথে সাথেই না করার কারনে দেখা যায়, কাজটা জমে থাকে। কখনো এই ছোট ছোট মিস্টেইক প্রজেক্টে বড় ধরনের সমস্যা তৈরি করে থাকে।
আপনাদের কি অবস্থা?
টিপস: ৬১
আমরা মুলত একটা কাজকে তিনটি ধাপে সম্পন্ন করে থাকি।
১) প্রিপারেশন
২) একশন
৩) ক্লোসিং
এখন আমরা যদি একটা একটা করে কাজ না করে ব্যাচ আকারে করি তাহলে আমাদের পক্ষে কিছুটা সময় সেভ করার সুযোগ থাকবে। কেননা সে ক্ষেত্রে আমরা একই প্রিপারেশনে একাধিক কাজ করতে পারছি। তারমানে প্রতিবার প্রিপারেশন স্টেইজে যে সময় যেত সেখান থেকে সময় বাচানো সম্ভব হবে। যদিও এক এক ধরনের কাজের জন্য ফর্মুলাটা এক এক রকম হয়ে থাকে। তারপরেও একটা উদাহরন দেইঃ
ধরেন, সারাদিনে একটু পর পর ইমেইলের রিপ্লাই না দিয়ে, এক সাথে ব্যাচ আকারে ইমেইলের রিপ্লাই গুলো দিতে পারেন।
আবার, কন্টেন্ট তৈরির সময়ও আপনি এক সাথে একটা ব্যাচ লিখে ফেলতে পারেন। ব্যাচটা দুইটা কন্টেন্টেরও হতে পারে, আবার ৫টাও হতে পারে। নির্ভর করবে আপনার ধরনের উপর।
একই ফর্মুলা সোশ্যাল মিডিয়ার কন্টেন্ট প্রোডাকশন এবং ডিস্ট্রিবিউশনের ক্ষেত্রে কাজে লাগবে।
টিপস: ৬২
ব্যাবসার প্রসারের জন্য সেলস স্কিল থাকাটা বাধ্যতা মুলক। ফ্রীল্যান্সিং এর ক্ষেত্রেও একই সুত্র। আবার একই সময় এটাও মাথায় রাখতে হবে শুধু সেলস স্কিল দিয়ে বেশি দূর যাওয়া যাবেনা। কেননা যেই পন্য অথবা সার্ভিস সেল করতে চাচ্ছি তা আসলেই আমার কাস্টমারের সমস্যার সমাধান দিতে পারছে কিনা সেটা এনালাইজ করতে হবে। মার্কেটিং ইন্ডাস্ট্রিতে একটা কথা আছে, নেভার এডভারটাইজ এ ব্যাড প্রোডাক্ট। এর কারন হচ্ছে আপনি যত মার্কেটিং করবেন আপনার ব্যাড প্রোডাক্ট তত বেশি মানুষ কিনবে। যত বেশী মানুষ কিনবে তত বেশি মানুষ হতাশ হবে। তত বেশি মানুষ আপনার প্রোডাক্টের বদনাম করবে। তারমানে আপনি যত ডলার / সময় ইনভেস্ট করছেন সেলস এন্ড মার্কেটিং এ, তত বেশি বদনাম ফেরত আসছে রিটার্ন হিসেবে। মনে রাখতে হবে, বিজনেসের সফলতা নির্ভর করবে আপনি কত গুলো কাস্টমারের কাছে দ্বিতীয় সেল জেনারেট করতে পারছেন। আপনার প্রথম সেল যে কোন ভাবেই আসতে পারে, কিন্তু একই কাস্টমারের কাছে দ্বিতীয় সেল জেনারেট করা মানে, আপনার প্রথম প্রোডাক্ট / সার্ভিস তাদের চাহিদা পুরন করতে পেরেছে। পুরোপুরি না পারলেও আংশিক ভাবে পেরেছে।
তাই লং টার্ম সাসটেইনএবল কেরিয়ারের জন্য এই বেপারগুলো নিয়ে ভাবতে হবে। ক্রিকেট খেলাতেই দেখুন, অনেক হার্ড হিটার ব্যাটসমেন আসে, এসেই মাঠ কাপায়। তারপর আবার হারিয়ে যায়। আবার অনেকেই আছেন, যারা কনসিস্টেন্স। লম্বা সময় ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে আছেন। ফাইনানশিয়ালি বলেন, আর রেপুটেশন বলেন, তারাও বিল্ড করে, তবে ধীরে ধীরে। তাই শর্ট টার্ম অনেক গুলো ছোট ছোট স্ট্র্যাটেজি থাকতে পারে, তবে তা একটা লং টার্ম সাস্টেইনেবল স্ট্র্যাটেজিকে বাদ দিয়ে নয়।
টিপস: ৬৩
নতুন ক্লায়েন্ট পাওয়ার সাথে সাথে পুরানো ক্লায়েন্টদের কে কিভাবে ব্যাক করানো যায় সেটারো একটা স্ট্র্যাটেজি থাকা উচিত। একই সাথে মনে রাখতে হবে ৮০ ভাগ সেলস কনভার্ট হয় ৫ অথবা তার অধিক ফলোআপের পরে। এটা আমার একটা পুরানো ক্লায়েন্ট। ৮ নম্বর ফলোআপ ইমেইলের পরে কনভার্ট হচ্ছে।
ফলোআপ মানেই কিন্তু শুধু মাত্র ডিরেক্ট সেলস প্রপোসাল নয়। কন্সালটেটিভ সেলিং মানে আপনাকে / আমাকে কন্সাল্টেন্ট হিসবে মুভ করতে হবে। উই নিড টি হেল্প আওয়ার ক্লায়েন্ট
টিপস: ৬৪
আপনি আপনার চারিপাশের ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলোকে এমনি এমনি উপভোগ করতে পারেন, আবার চাইলে ডাটা এনালাইসিস করতে পারেন। মার্কেটিং এর স্ট্র্যাটেজি, ট্রিক্স, টিপ্স কোনটাই স্বপ্নে পাওয়া কিছু না। সব কিছুই মুলত ডাটা ড্রিভেন স্ট্র্যাটেজি। আপনার / আমার বুঝতে হবে আমাদের অডিয়েন্স কি চায়, কিভাবে ভাবে, কিভাবে করে ইত্যাদি। এটা বুঝার জন্য আপনার অন্যান্য বিজনেস গুলোকে মনিটর করতে হবে। এছাড়াও এই সেক্টরে যারা সিনিয়র আছেন, তাদের অভিজ্ঞতা থেকেও অনেক কিছু জানতে পারবেন। আবার শুধু মনিটর করলেই হবে না, আপনার নিজের ক্যাম্পেইনও শুরু করতে হবে। আবার শুরু করলেই হচ্ছে না, সেই শুরুর পরের পার্টগুলো যতটুকু সম্ভব ট্র্যাক করতে হবে। অন্যথায় আপনার জন্য অনেক কিছুই অজানা থেকে যাবে।
টিপস: ৬৫
আমরা অনেক সময় আমাদের নিড বুঝতে পারিনা। আমাদের মনে হয় আমরা যেভাবে আছি তাই ঠিক আছে। এটা অনেক সময় সত্যি হলেও অনেক সময় না। একজন প্রফেশনাল হিসেবে আমাদের সবসময় কিছু না কিছু নিডেড স্কীল ডেভেলপ করতে হবে। আইডেন্টিফাই করতে হবে আমার কোন স্কীলটা দরকার।
যেহেতু আমি একজন বিজনেস প্রফেশনাল, এবং আমার কাজের মুল ইন্ডাস্ট্রি হচ্ছে এসইও এবং ইন্টারনেট মার্কেটিং। তাই আমি নিচের স্কিলগুলো ডেভেলপ করার চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত।
=> নেটওয়ার্কিং
=> প্রেসেন্টেশন
=> রিসার্চ
=> রাইটিং
=> স্পিকিং
=> সেলিং
এসইও তে ভাল করতে গেলে এই যায়গা গুলোতে ফোকাস করতেই হবে। ব্যাকলিংক তৈরি হতে শুরু করে ক্লায়েন্ট জেনারেট পর্যন্ত সব যায়গাতেই এই স্কিলগুলো লাগবে। আর তাই আমি আমার প্রতিদিনের একটা নির্দিষ্ট সময় এই স্কিলগুলো ডেভেলপ করার জন্য ব্যয় করি। আর মাসিক একটা বাজেট থাকে বই / কোর্স / এক্সপেরিমেন্ট করার জন্য।
আর আমি আমার ফোকাসের ৫০% রাখি সেলিং স্কিল ডেভেলপ করার জন্য। কেননা আমি জানি, প্রফেশনাল সফলতা তখনই আসবে যখন আমি সেল এবল স্কীল ডেভেলপ করতে পারবো এবং জানবো কিভাবে ইফেক্টিভলি সেল করতে হয়। এ দুটোর কম্বিনিশন ছাড়া আসলে পর্যাপ্ত প্রফেশনাল সফলতা সম্ভব নয়।
টিপস: ৬৬
Decision Fatigue
———————
সময় যাবার সাথে সাথে, আমাদের ব্রেইনটা টায়ার্ড হতে থাকে। তাই ঘুম থেকে উঠার পর পর আমরা যেই ডিসিশন নিয়ে থাকি, আর বিকেলে যেই ডিসিশন নেই, এই দুইটার মধ্যে অনেক পার্থক্য থাকে। সকালের ডিসিশনটাকে বডি যেভাবে রেস্পন্স করে, বিকেলের টাকে সেভাবে করে না। দিন বাড়ার সাথে সাথে তাই আমাদের প্রোডাক্টিভিটিটাও কমতে থাকে।
সেই হিসেব মোতাবেক আমাদের সবচাইতে প্রোডাক্টিভ আওয়ার থাকে ঘুম থেকে উঠার পরের কয়েক ঘন্টা। কিন্তু আমরা বেশির ভাগ সময় ঐ সময়টাতে লেস প্রোডাক্টীভ কাজ করি। হয় মেইল চেইক করি, ফেসবুক নোটিফিকেশন চেইক করি ইত্যাদি। আবার অফিসে বের হবার জন্য ড্রেস সিলেকশন সহ অন্যান্য ডেস্ট্রাকটিভ থিঙ্কিংও থাকে। মোটামুটি সব টপ আইটি প্রফেশনালরাই এই জন্য দেখবেন ড্রেস নিয়ে খুব একটা ভাবে না, আবার অলমোষ্ট সিমিলার ড্রেস কোড ব্যাবহার করে (উদাহরন হিসেবে, মার্ক জাকারবার্গ, স্টিভ জবস ইভেন বারাক ওবামাকেও দেখতে পারেন।)
রিসার্চ মতে, তিনটার দিকের টাইমটা হচ্ছে সব চাইতে লেস প্রোডাক্টিভ। আর ঘুম থেকে উঠার পরের দুই ঘন্টা হচ্ছে মোষ্ট প্রোডাক্টিভ।
আরো একটা মজার তথ্য হচ্ছে, যেকোন কঠিন কাজ কিভাবে সহযে করে ফেলা যায়, এই আইডিয়া গুলা বেশির ভাগ সময় টায়ার্ড মাথা থেকে আসে, কাজ এগুচ্ছেনা এগুচ্ছেনা করে ধুপ করে একটা জোস সলিউশন চলে আসে।
টিপস: ৬৭
একজন সফল প্রফেশনাল বিশেষ করে মার্কেটারের ডাটা ট্রাকিং এবং এনালাইসিসের দক্ষতা অর্জন করতে হয়। আমরা সারাদিন কিভাবে আমাদের সময়কে ইউটিলাইজ করছি তার বিস্তারিত ধারনা পেতে এই ভিডীওটি দেখতে পারেন
শেয়ার করে অন্যদের দেখার সুযোগ করে দিতে পারেন
https://www.facebook.com/ItsMeNahid/videos/10216135557245783/
টিপস: ৬৮
- B2B মার্কেটারদের মধ্যে যারা ব্লগিং করে তারা ৬৭ ভাগ বেশি লিড জেনারেট করে থাকে (Huffington post)।
- যেই প্রতিষ্ঠানের ব্লগ আছে, তারা মুলত ৯৭ ভাগ বেশি ব্যাকলিঙ্ক পেয়ে থাকে তাদের ওয়েবসাইটে (Business 2 Community)।
টিপস: ৬৯
বিজনেসের একটা সময় এসে রিয়েলাইজ করলাম, একটা একাউন্টিং সফটওয়ার দরকার সাথে ইনভয়সিং অপশন। ক্লাউড ব্যাসড হচ্ছে বেস্ট সলিউশন। কিন্তু বেশিরভাগ ক্লাউড ব্যাসড সফটওয়ার গুলা পেইড। মান্থলি সাবস্ক্রিপশন ফী দিতে হবে। অবশেষে গুগল রিসার্চ, ফেসবুক কমিউনিটি এবং ফোরাম কমিউনিটিতে প্রশ্ন করার পর বেশ কিছু সাজেশন পেলাম। waveapps নিয়ে ঘাটাঘাটি শুরু তখন থেকেই। এখন পেইড সাবস্ক্রিপশন এফর্ড করতে পারলেও, waveapps এর সাথেই আছি।
আপনাদের কারো যদি ফ্রী একাউন্টিং সফটওয়ার দরকার হয় তাহলে এটা হচ্ছে বেস্ট টুল। ট্রাই করে দেখতে পারেন।
টিপস: ৭০
হুটহাট এসইও টিপ্স :p
H1 ট্যাগ এসইও এর জন্য অনেক গুরুত্ব পুর্ন একটা পার্ট। গুগল যেই যেই যায়গা গুলাতে ফোকাস করে কন্টেন্ট এর টপিক / কিওয়ার্ড আইডেন্টিফাই করার জন্য H1 ট্যাগ তার মধ্যে অন্যতম।
তাই আমাদের প্রাইমারি কিওয়ার্ডকে H1 ট্যাগে ইঞ্জেকট করা গুরুত্বপুর্ন। এখন যেই কন্টেন্টের কন্টেন্ট স্ট্রাকচার, হেডিং সাবহেডিং কেন্দ্রিক, সেখানে খুব সহজেই H1 ট্যাগ ব্যাবহার করা যায়।
কিন্তু যেই কন্টেন্টের স্ট্রাকচার হেডিং সাব হেডিং টাইপেরনা, সেখানে করনীয় কি? সেখানে আসলে চাইলে টাইটেল ট্যাগটাকেই h1 ট্যাগ হিসেবে ব্যাবহার করা যায়।
অথবা h1 ট্যাগের সাইজ কমিয়ে রেগুলার টেক্সট এর আকারে ব্যাবহার করা যায়।
একাধিক h1 ট্যাগ ব্যাবহার করা যাবে কিনা?
যাবে, তবে না করাই ভাল। কেননা আমি যত H1 ট্যাগ ব্যাবহার করবো, ভ্যালু ততটাই ডাইলুটেড হবে। তখন আর প্রকৃত সুবিধা পাওয়া যাবে না।
আপনারা চাইলে একটা বিস্তারিত আর্টিকেল লিখতে পারি, যদিও কিওয়ার্ড প্লেসমেন্ট নিয়ে আমার ব্লগে একটা আর্টিকেল অলরেডি আছে
টিপস: ৭১
সেল ডবল করার সহজ ওয়ে হচ্ছে রিচ ডবল করা। তাহলে সেইম কনভার্শন রেটেও সেল ডবল করা সম্ভব।
আবার রিচ ডবল না করে, কনভার্শন রেটের উপর কাজ করলে হয়ত সেল ডবল হতে পারে।
আবার কনভার্শন রেট কম হলে, আমরা পেইজের কন্টেন্ট পরিবর্তন না করেও আমাদের প্রোডাক্ট স্পেসিফিকেশন পরিবর্তন করেও সেল বাড়াতে পারি
এই সব গুলা মেথডি ইফেক্টিভ। আমি নিজে ট্রাই করেছি।
নোটঃ রিচ বলতে আমি শূধু ফেসবুক রিচের কথা বুঝাইনি, সব ধরনের রিচের কথাই বুঝিয়েছি
টিপস: ৭২
আমি অফিস থেকে বাসায় আসলাম, এসে আমার বউকে বললাম, তোমার জন্য আজ একটা সারপ্রাইজ গিফট নিয়ে এসেছি। সে কি করবে? সে হয়ত আমার পকেট চেক করবে। তারপর হয়ত আমার ল্যাপটপের ব্যাগটা নিবে, তা খুলে দেখার চেষ্টা করবে গিফটটা সেখানে আছে কিনা। সে কি করতে পারে, এই বেপারটা আমি অনুমান করতে পারছি। এটাকে বলা হয় থিওরী অফ মাইন্ড।
সেইম কন্সেপ্টটা মার্কেটিং এও এপ্লাই করতে হয়। বিশেষ করে সেলস প্রেসেন্টেশনে। আমাদের অনুমান করে নিতে হয়, প্রসপেক্ট কি ধরনের চিন্তা করতে পারে, কি ধরনের প্রশ্ন করতে পারে, তার কি ধরনের অবজেকশন থাকতে পারে। আপনি যত ভাল এবং গভীর ভাবে এটা চিন্তা করতে পারবেন, আপনার প্রস্তুতিটাও ততটাই ভাল হবে। কনভার্শন হবার রেট ততটাই বেড়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে।
এছাড়াও সেইম কন্সপেটটা বিজনেস স্ট্রাটেজি, টিম সেটাপ, কন্টেন্ট তৈরী সহ সবজায়গাতেই এপ্লাই করতে হয়। সঠিক ভাবে এপ্লাই করতে পারলে সর্বাধিক রিটার্ন পাওয়া যায়।
বিস্তারিত নিয়ে একটা ব্লগ পোষ্ট পাবেন ইন শা আল্লাহ।
টিপস: ৭৩
ফ্রী রিসোর্সঃ
কপিরাইট ফ্রী ইমেইজ ডাউনলোড করার যে কয়টি টপ কোয়ালিটির সাইট আছে তার মধ্যে একটি হচ্ছে Unsplash
ট্রাই করে দেখতে পারেন http://bit.ly/2mDuBaE
এছাড়াও pixabay এর ছবির ভান্ডার হাইলি প্রোফেশনাল এবং টপ কোয়ালিটির। সব টপ ব্লগার / মার্কেটাররাই কম বেশি এই দুইটা সাইট ব্যাবহার করে থাকেন।
টিপস: ৭৪
আউট বাউন্ড মার্কেটিং এবং ইনবাউন্ড মার্কেটিং
——————————————————–
যারা অনেক দিন ধরেই অনলাইন বিজনেস অথবা মার্কেটিং এর সাথে সম্পৃক্ত তারা এই দুইটা টার্মের সাথে ভাল ভাবেই পরিচিত। কিন্তু নতুনদের মধ্যে অনেকেই কিছুটা কনফিউজ থাকে এই দুইটা টার্ম নিয়ে। তাদের জন্য টার্ম দুইটা সহজ করার চেষ্টা করছি।
আউটবাউন্ড মার্কেটিং আসলে অনেকটাই আমাদের ট্রেডিশনাল মার্কেটিং এর মত। যেখানে আমরা এডভারটাইসমেন্টটাকেই ফোকাস করি। টিভি, রেডিও, প্রিন্ট মিডিয়া, ফোন কল, ট্রেড শো ইত্যাদি। এখানে আমরা মুলতো সেলস রিলেটেড এপ্রোচ গুলো নিয়ে থাকি। এডুকেটিভ কন্টেন্টের চাইতে বেশি থাকে ডিরেক্ট সেলস স্পীচ।
আর ইনবাউন্ড মার্কেটিংটা হচ্ছে অনেকটা টারগেট স্পেসিফাইড। ভ্যালুএবল কন্টেন্ট তৈরী করে সম্ভাব্য ক্রতার লাইফে ভ্যালু এড করা। এটা করতে পারলে ব্রান্ড ভিসিবিলিটি এবং ট্রাস্ট বাড়ে। তার সাথে সাথে এংগেজমেন্ট বাড়ে। এংগেজমেন্ট বাড়া মানে হচ্ছে অন্য পটেনশিয়াল ক্রেতার কাছে পৌছানোর সম্ভাবনা বাড়বে। ইনবাউন্ড মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে কয়েকটা স্টেপ পার করে তারপর সেল হয়। ফানেলটা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এমন হয়
এট্রাক্ট => কনভার্ট => সেলস ক্লোসিং => কাস্টমারকে প্রমোটারে কনভার্ট করা।
ইনবাউন্ড মার্কেটিং এর সুবিধা হচ্ছে, একবার একটা ইফেক্টিভ ফানেল ক্রিয়েট করা গেলে, কোন এডিশনাল ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই অনেক সেল জেনারেট করা যায়। অসুবিধা হচ্ছে এটা তৈরী করতে সময় নেয়। আবার আউটবাউন্ডের সুবিধা হচ্ছে, প্রথম দিন থেকেই আপনি সেল জেনারেট করতে পারবেন। কিন্তু এখানে প্রতিটা সেলের জন্যই আপনার একটা এডভারটাইজমেন্ট বাজেট থাকতে হয়।
টিপস: ৭৫
সাইকোলজিকাল প্রাইসিংঃ
সার্ভিস অথবা প্রোডাক্ট, দুই যায়গাতেই একটা স্মার্ট প্রাইসিং আমাদের সেল ডবল করে দিতে পারে। প্রাইসিং সেট করার টেকনিকগুলার মধ্যে অনেক বেশি ইফেক্টিভ এবং ইম্পরটেন্ট একটা স্ট্র্যাটেজি হচ্ছে সাইকোলজিকাল প্রাইসিং। উদাহরন দিলেই সহজ হয়ে যাবে।
$4.00
$3.99
পার্থক্য মাত্র ১ পয়সা। কিন্তু সাইকোলজিকালি এইটা অনেক বড় একটা ডিফরেন্স।
আবার
$3.80
$3.75
পার্থক্য ৫ পয়সার, কিন্তু সাইকোলজিকালি খুব একটা ডিফরেন্স পাবেন না। ইভেন সেল ভলিউমেও খুব একটা পার্থক্য পাবেন না।
এর কারন হচ্ছে আমাদের মস্তিস্ক, বাম পাশের সংখ্যাটাকে বেশি ফোকাস করে এস এ কাষ্টমার। প্রথম উদাহরনে যদিও পার্থক্য এক পয়সার, কিন্তু বাম পাশের সংখ্যাটা এক ডিজিট কমেছে। ৪ থেকে ৩ হয়েছে, আর মস্তিস্ক এই $3.99 কে আসলে $3.00 এর মত ট্রিট করে।
অপর উদাহরনের যদিও দাম পাঁচ পয়সা কমেছে, কিন্তু বাম পাশের সংখ্যা কমেনি বলে আমরা প্রাইস দুইটাকে সেইম রেঞ্জের মধ্যেই ট্রিট করবে। আর তাই সেখান থেকে তেমন একটা এডভান্টেজ এক্সপেক্ট করা যাবে না।
টিপস: ৭৬
Halo Effect
আমরা সবাই মাশরাফিকে পছন্দ করি। ও যা বলে তাই বিশ্বাস করি.আমাদের মনের ভিতরে হয়ত একটা পসিটিভ ইম্পেক্ট ফেলে। ও যদি ভবিষ্যতে কোন ব্রান্ডকে রিপ্রেসেন্ট করে / কোন প্রোডাক্টকে প্রমোট করে তাহলে নিজেদের অবচেতন মনেই আমাদের সেই ব্রান্ড অথবা প্রোডাক্টের উপর একটা সফট কর্নার তৈরি হবে। এটাকে বলা হয় Halo Effect. আর মার্কেটাররা এই কারনের বিজ্ঞাপন তৌরীর সময় সেলিব্রেটিদেরকে প্রায়রিটি দেয়। সাব্বির রহমানকে তখবই বিজ্ঞাপনে নেয়া হয়েছে যখন ও ভাল খেলে মানুষের মনে যায়গা করা শুরু করেছে। সেইম বেপার মোস্তাফিজের ক্ষেত্রেও।
একটু ডিটেইল ভাবে বললে, আমরা কোন একটা মানুষকে দেখার পরেই তার সম্পর্কে একটা ধারনাতে পৌছাই, অনেক সময় কনক্লুশনেও পৌছে যাই। তার ড্রেস আপ, তার কথার ধরন, এই বেপার গুলা আমাদের মনের মধ্যে তার সম্পর্কে একটা ধারনার জন্ম দেয়। তাই যখন কোন সেলিব্রেটি কোন একটা প্রোডাক্টকে রিপ্রেসেন্ট করে আমরা তা অনেক সময় বিশ্বাস করি।
স্কূল জীবনের কথা মনে করেন। কোন একটা নতুন টিচার প্রথম দিন যখন আমাদের ক্লাস নিতে ঢুকতেন, আমরা কিন্তু সেদিনি হয় তাকে পছন্দ করে ফেলতাম অথবা অপছন্দ। আবার জব ইন্টারভিউয়ের সময় রিক্রুইটার এপ্লিক্যান্টকে দেখেও একটা সিদ্ধান্তে পৌছে যায়, তার ড্রেস আপ, এটিটিউট, তার কথার ধরন, পসিটিভিটি দেখেও অনেক সময় জাজ করে নেয়, তার স্কীল কেমন হতে পারে। এইগুলা সবই সেই Halo Effect এর ফল।
টিপস: ৭৭
ভয়ানক কর্ম ব্যাস্ততার মাঝেও আপনাদের কিছু দিক নির্দেশনা দেয়ার চেষ্টা করেছি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে।
অনেকেই আছেন, কিভাবে তাদের কেরিয়ার শুরু করবেন কনফিউজড থাকেন, যার ফলে তাদের হয়ত শুরুই করা হয় না, অথবা শুরু করলেও ভুল ওয়েতে শুরু করার কারনে বেশি দূর যেতে পারেন না। শেয়ার করে তাদেরকেও দেখার সুযোগ করে দিন, হয়তো তাদের কাজে লাগবে
চলবে……