fbpx

কুমিল্লা অনলাইন প্রফেশনাল মিট আপ – যা শেখার আছে

এই পৃথিবীতে এক এক জন মানুষ এক এক ভাবে শেখে। কাউকে হয়ত সব কিছু হাতে কলমে দেখিয়ে না দিলে সে শিখতে পারেনা। আবার অনেককেই একটু হিন্টস দিলে সে বাকি টুকু করে ফেলতে পারে। মিটআপ ইভেন্ট গুলো থেকে মুলত এই ২য় শ্রেনির প্রফেশোনালগন ভাল রিটার্ন জেনারেট করতে পারে।

আমরা সবাই আলাদা, তাই আমাদের সবার স্ট্র্যাটেজিও পুরোপুরি একই রকম হবে না। আবার সবার বলার এবং ধারন করার ক্ষমতাও একই রকম নয়। তবে সব কিছুতে যেমন অমিল রয়েছে, আবার কিছু মিলও রয়েছে। তাই বাকিরা কি করছে, কি করছে না, অথবা তাদের স্ট্র্যাটেজি কেমন ছিল, মিস্টেইক কেমন ছিল এই তথ্য গুলো আপনার চলার পথ সহজ করে দিবে, এতে কোন প্রকার সন্দেহ নেই। তবে হ্যা, আপনার কাজ করার মন মানুষিকতা থাকতে হবে। একটা ইভেন্টে গেলাম, খেলাম, আড্ডা দিলাম, ছবি তুললাম আর চলে আসলাম। এই বৃত্ত থেকে বের হয়ে ইভেন্ট শেষে নিজেকে নিজের জিজ্ঞ্যাস করতে হবে কি পেলাম। কি জানলাম, আর এই গুলো কিভাবে কাজে লাগানো যায়।

আমি জানি, এই ইভেন্টেও আপনারা অনেকেই গুরুত্বপুর্ন পয়েন্ট গুলো নোট করে রাখেন নাই। তাই আমার নোট করা গুরুত্বপুর্ন পয়েন্ট গুলো আপনাদের জন্য লিখছি, যাতে আপনারা কাজে লাগাতে পারেন।

সাইদুর মামুন খানঃ

আমাদের ক্লায়েন্ট সোর্স সম্পর্কে আমাদের হাতে যত ডাটা থাকবে, তত বেশি লিড কনভার্ট হবার সুযোগ তৈরি হবে। তাই আমাদের উচিত হবে লিড সম্পর্কে জানা। যত বেশি জানা যাবে, কনভার্শন তত বেশি হবে। নিম্নের গুরুত্ব পুর্ন পয়েন্ট গুলো আমাদের জানার চেষ্টা করা উচিত।

  • তাদের সাইকোলজি
  • ফাইনানশিয়াল অবস্থা
  • তাদের বিজনেস গ্রোথ
  • তাদের বিজনেস নিড
  • তাদের লোকেশন

আপওয়ার্কে প্রায় সময়ই দেখা যায়, অনেক জব পোষ্ট হয়। কিন্তু সবাই হায়ার করে না। এটা নিয়ে ফ্রাস্ট্রাটেড হবার কিছু নেই। কেননা এটাই স্বাভাবিক। একটা দোকানে যত কাস্টমার যায়, সবাই কিন্তু কেনে না। তাই যত ভাগ ক্লায়েন্ট আসলে হায়ার করে থাকে, আপনাকে এনশিউর করতে হবে সেই অংশের মধ্যে থেকেই আপনি হায়ারড হচ্ছেন। ওভাবেই স্ট্র্যাটেজি সাজাতে হবে।

কাওসার আহমেদঃ

ফোকাস থাকা সবচাইতে জরুরি। আমরা বেশির ভাগ সময় ফেল করি, কেননা আমরা ফোকাস থাকতে পারি না। ফোকাস থাকার জন্য নিজেকে নিজের প্রেসারাইজড করাটাও গুরুত্বপুর্ন। উনি বেশির ভাগ সময় বড় বড় গোল সেট করে থাকেন। যা উনাকে প্রেসারাইজড করে ফোকাস থাকতে, পরিশ্রম করতে।

শরিফ মোহাম্মদ শাহজাহানঃ

একজন শুরুর দিকের প্রফেশনালের জন্য আসলে মার্কেট প্লেসের চাইতে ভাল যায়গা নেই, কেননা এখানে অলরেডি ক্লায়েন্ট রয়েছে। তারা জানে তার একজন প্রফেশনাল দরকার। আমাদের শুধু তাদেরকে এনশিউর করতে হবে যে আমিই বেস্ট। এটা এনশিউর করতে পারলেই ক্লায়েন্ট পাওয়া তুলনা মুলক ভাবে সহজ হবে। তাই মার্কেট প্লেসে কাজ করা যাবে না, দরকার নেই এই ভাবে ভাবার কিছু নেই।

এছাড়াও ট্রেন্ড বুঝতে হবে। ১০ বছর আগের নিড আর এখন কার নিড কিন্তু সেইম না। তাই ১০ বছর আগে একজন যা করে সফল হয়েছে, তা হুবুহু এই সময় ফলো করার দরকার নেই। আপনাকে প্লান সাজাতে হবে বর্তমান ট্রেন্ডের উপর নির্ভর করে।

মাসুদুর রশিদঃ

আমাদের সবারই কম বেশি প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট করার জন্য প্রোডাক্ট নিয়ে ভাবা উচিত। যেটা ঘুমিয়ে থাকা অবস্থাতেও কম বেশি রিটার্ন জেনারেট করতে সাহায্য করে। এটা হতে পারে ১ টা বড় প্রোডাক্ট। হতে পারে অনেক গুলো ছোট প্রোডাক্ট।

আরিফ হোসাইনঃ

ইউটিউব তুলনা মুলক ভাবে টাকা কামানোর জন্য একটা সহজ যায়গা। কিন্তু আমাদের মুল ফোকাস থাকা উচিত কোয়ালিটি কন্টেন্ট তৈরির দিকে। তাহলেই লম্বা সময় টিকে থাকা যাবে, অথবা প্রোপার গ্রোথ এনশিউর করা যাবে।

ফয়সাল মোস্তফাঃ

ফাইবার এ রেস্পন্স টাইম অনেক গুরুত্ব পুর্ন। রেস্পন্স টাইম এবং ডেলিভারি টাইম বাড়তে থাকলে গিগের ইম্প্রেশন এবং র‍্যাংক কমতে থাকে। এছাড়াও গিগের শেষে যদি This gig is exclusively on fiverr এই অংশ টুকু ব্যাবহার করলে ফাইবার গিগটাকে আলদা ভাবে মুল্যায়ন করে।

এছাড়াও বাকি সবাই যেই যায়গাটাতে জোড় দিয়েছেন তা হচ্ছে শর্ট কার্ট বলে কিছু নাই। যেহেতু এটা একটা গ্লোবাল মার্কেট প্লেস, তাই স্কিল ডেভেলপ করেই টিকে থাকতে হবে। শর্ট কার্ট, কপি পেস্ট এই গুলো চলতে থাকলে আজ থেকে পাঁচ বছর পরে আসলে পুরো ইন্ডাস্ট্রির রেপুটেশন ফল করবে। যতটা এক্সাইটেড হয়ে মানুষ এই ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখছে, তার চাইতেও বেশি হতাশা নিয়ে মানুষ বের হবে। বেকারের সংখ্যা অনেক বেড়ে যাবে।

আরো পার্সনালাইজড টিপ্স পেতে আমার ফেসবুক গ্রুপে কানেক্টেড থাকতে পারেন।

রিলেটেড পোস্ট:

Scroll to Top