আপনি কিভাবে ভাবছেন এই বেপারটা আপনার প্রফেশনাল এবং ব্যাক্তিগত জীবনে অনেক গুরুত্বপুর্ন। আপনার এই ভাবনার ধরনের উপর নির্ভর করছে আপনার প্রফেশনাল সফলতা / ব্যার্থতা, এবং পারিবারিক সুখ শান্তি। আপনি এমন অনেক মানুষ পাবেন যারা সব সময় নেই নেই মনভাব নিয়ে জীবন যাপন করেন। আবার অনেক মানুষ পাবেন যারা নিজেরা কিছু করেন না, কিন্তু অন্যে কি করছে তা নিয়ে অনেক ব্যাস্ত থাকেন। এর মাঝেও এমন অনেক কেই পাবেন যারা অনেক আত্মবিশ্বাসী এবং পরিশ্রমি। সফলতার জন্য আত্মবিশ্বাস অনেক গুরুত্ব পুর্ন। আপনার নিজের প্রতি যথেষ্ট বিশ্বাস থাকতে হবে। আত্মবিশ্বাস যদি পর্যাপ্ত না থাকে তাহলে এই আর্টিকেলটি পড়ে নিন, আত্মবিশ্বাস বাড়বে গ্যারান্টেড।
কিন্তু আত্মবিশ্বাস থাকা মানে এই নয় যে, আপনি আপনার প্রফেশনাল জীবন শুরু করলেন, আপনার অনেক আত্মবিশ্বাস আছে, আর আপনি সফল হয়ে গেলেন। বেপারটা ঠিক এমন না। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আপনার জার্নি চলবে। জীবনটা হচ্ছে অনেক ছোট ছোট মাইলস্টোন এর সমস্টি। এখানে আপনাকে একটার পর একটা ধাপ অতিক্রম করতে হবে। কোন কোন ধাপ আপনি একবারেই পাড় করতে পারবেন, কোন কোনটা অনেক বার চেষ্টা করার পর পাড় করতে পারবেন। কোন কোনটা হয়ত আপনাকে স্কিপ করতে হতে পারে। আবার কখনো আপনার পথ পরিবর্তন করতে হতে পারে। যেই যেই ধাপ গুলা পাড় করতে পারলেন না সেই ধাপ গুলাই হচ্ছে আপনার ব্যার্থতা।
এখন এই ব্যার্থতা নিয়েও দুই ধরনের মানুষ খুজে পাওয়া যায়। এক ধরনের মানুষ ব্যার্থতার পর মুড়শে পরেন। ধরেই নেন সামনে আর কোন রাস্তা খোলা নেই। চেষ্টা করেন না, ব্যার্থ হবার কারন খুজেন না, এবং এর থেকে পরিত্রান পাবার চেষ্টাও করেন না। আরেক ধরনের মানুষ এর মধ্যে থেকেই সফলতার রাস্তা খুজে নেন। আসুন দেখে নেই কিভাবে আপনার ব্যার্থতা আপনাকে সফলতার রাস্তা দেখাতে পারে।
ব্যার্থতা নতুন কিছু শিখায়
আপনি মিনিয়ন রাশ ইনস্টল করলেন। খেলা শুরু করলেন। দৌড় দিলেন। কিন্তু স্ট্যেজ কমপ্লিট করতে পারলেন না। কারন সামনের প্রতিবন্ধকতাটা আপনি প্রথমবার বুঝতে পারেন নি। পরের বার আবার খেলা শুরু করলেন, এইবার কিন্তু দুরুত্ব একটু বেশি অতিক্রম করলেন, কারন আপনি এখন সম্ভাব্য প্রতিবন্ধকতাটা সম্পর্কে অবগত। খেলতে খেলতে এক সপ্তাহ পর ১০ টা স্ট্যাজ শেষ করে ফেললেন।
প্রফেশনাল ক্ষেত্রটাও এমনই। আপনি প্রথমে আপনার প্লান মত কাজ শূরু করলেন। সব প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে আপনার পুর্ন ধারনা থাকবে না এটাই সাভাবিক। যখন ব্যার্থ হলেন তখন আপনি নতুন প্রতিবন্ধকতা আবিস্কার করলেন। এই প্রতিবন্ধকতা আপনাকে নতুন করে শিখাবে কি ভাবে এই ধরনের প্রতিবন্ধকতা পার করতে হয়। তখন চলার পথে ভবিষ্যতে একই ক্যাটাগরির প্রতিবন্ধকতার সম্মুখিন হলেও আপনি পরের বার আর ব্যার্থ হচ্ছেন না। তাই প্রতিটা ব্যার্থতা আপনাকে নতুন কিছু শিখাচ্ছে। যা আপনার সফলতার সিড়ি হিসবে কাজ করবে।
ব্যার্থতা কাজের গতি বাড়িয়ে দেয়
প্রতিটা ক্ষেত্রেই আপনার মোটিভেশন দরকার হবে। প্রফেশনাল লাইফে অনেক ধরনের স্ট্রেস থাকে। এই ধরনের স্ট্রেস কখনো কখনো কাজ থেকে মনযোগের বিচ্যুতি ঘটায়। কাজ করার মজাটাও নষ্ট করে দেয়। আবার কখনো কখনো এক ঘেয়ামি একটা ভাবের আবির্ভাব হয়। যখনই আপনি ব্যার্থ হলেন কোন একটা প্রজেক্টে, এটা আপনাকে নড়ে চড়ে বসতে বাধ্য করবে। ব্যার্থতা মানে সাময়িক ভাবে কিছুটা পিছিয়ে পড়া, নতুন সমাধান বের করা এবং পুনরায় চেষ্টা করা। মনস্তাত্তিক ভাবেই আপনি তখন একটু বেশী একটিভ থাকবেন যাতে খুব দ্রুত কাম ব্যাক করা যায়।
আরো পড়ুনঃ কাজের স্ট্রেস কমিয়ে রিফ্রেসড হবার ৮ টি সহজ এবং কার্যকরি উপায়
ব্যার্থতা ভুল গুলো আইডেন্টিফাই করতে সাহায্য করে
একজন মানুষ হিসেবে আপনার প্লানিং থেকে শুরু করে এক্সিকিউশন পর্যন্ত বেশ কিছু ভুল থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কখনো কখনো পুরো প্লানটাও ভুল হতে পারে। আর এই ধরনের ভুল একটা সময় পর ব্যার্থতার কারন হয়ে দাঁড়ায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যার্থতার আগ পর্যন্ত এই ধরনের ভুল চোখে পড়ে না। তাই যখনই আপনি ব্যার্থ হলেন তার সাথে সাথে আপনি আপনার ব্যার্থতা কারন এবং কিছু ছোট বড় ভুল আইডেন্টিফাই করলেন। আর প্রতিটা ভুল আপনাকে সঠিক পথে পরিচালিত হতে সহায়তা করবে।
আপনি যদি প্রফেশনাল ভাবে সফল ব্যাক্তিদের নিয়ে একটু পড়াশুনা করেন, দেখবেন তারা জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রেই ভুল করেছে, অনেকেই তাদের কে বিভিন্ন সময় প্রত্যাক্ষান করেছেন, তাদের লক্ষ্য নিয়ে হাসা হাসি করেছেন, কিন্তু প্রতিটা প্রত্যাক্ষান, ভুল তাদের সামনের দিকে অগ্রসর হতে সহায়তা করেছে। এরকম ছয়টি ব্যার্থতার গল্প পড়তে পারেন এইখানে। ছোট ছোট ভুল আপনাকে শুরু থেকেই অনেক বেশি পরিপক্ক করে তুলবে। তাই ছোট ছোট ভুল আপনার জন্য ক্ষতিকর কিছু না, বরং এটা আপনাকে অনেক বড় বড় ভুল থেকে বেচে যাওয়ার / ওভারকাম করার রাস্তা দেখিয়ে দেয়। এছাড়াও আত্মবিশ্বাস নিয়ে উক্তিগুলো পড়তে পারেন, যা আপনাকে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে সহায়তা করবে।