ব্যবসায়িক আইডিয়া বের করার পরের স্টেপ হচ্ছে এটাকে ভ্যালিডেট করা। এতে আমরা বুঝতে পারি, আমাদের আইডিয়াটাতে কোথায় কোথায় পরবির্তন করা লাগতে পারে। একটা কথা মনে রাখতে হবে সুন্দর আইডিয়া, যেটা সবাই পছন্দ করেছে, এর মানে কিন্তু এটা নয় যে এটা সবাই কিনবে? পছন্দ করা আর কেনা এক জিনিষ নয়। এমন অনেক কিছুই আছে, যেটাকে আইডিয়া হিসেবে অনেক ভাল লাগলেও মানুষ সেটার পেছনে টাকা খরচ করতে চাইবে না।
আসুন আমরা কিভাবে একটি আইডিয়াকে ভ্যালিডেট করা যায় তা দেখি।
১) যারা আমাদের সম্ভাব্য কাস্টমার, তাদের সাথে কথা বলাঃ
আপনি ধরেন নেন যে আপনার পণ্য/সেবা মার্কেট এ এক্সিস্ট করছে। এবং এটা মাথায় রেখে আপনি আপনার সম্ভাব্য ক্রেতার সাথে কথা বলেন। তাদের পেইন পয়েন্ট বুঝে আপনার পণ্য/সেবার কথা তাদের কে জানান। এবং বোঝার চেষ্টা করেন তারা এ বেপারে কতটুকু ইন্টারেস্টেড। তাদের ফীডব্যাক মনোযোগ সহকারে নিন। যা আপনাকে যথেষ্ট আইডিয়া দিবে আপনার পণ্যের ডিমান্ড সম্পর্কে। অথবা কাস্টমার কী ধরনের মোডিফেকেশন চাইছে।
আপনাকে অবশ্যই অন্তত ১৫-২০ জন মানুষের সাথে কথা বলতে হবে, তাদের ডাটা গুলো নোট করে রাখতে হবে এবং এনালাইজ করতে হবে।
2) ছোট একটি মিনিমাম ভ্যায়াবেল প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিস তৈরি করাঃ
এবার আপনার আগের পাওয়া ফিডব্যাক এর উপর ভিত্তি করে ছোট একটি মিনিমাম ভায়াবেল প্রোডাক্ট অথবা পণ্য তৈরি করতে হবে। এবং তা নিয়ে খুব ছোট একটা মার্কেট সেগমেন্ট নিয়ে টেস্ট করতে হবে। ডিটেইল ফিডব্যাক নিতে হবে। যা আপনাকে একটি সুন্দর পিকচার দিবে, যে আপনার পরবর্তি প্লান কী হওয়া উচিত!
৩) গুগল কীওয়ার্ড প্লানার এ সার্চ ভলিউম দেখুন
এবার আপনি আপনার পণ্য অথবা সেবার বায়িং ইন্টেন্ট কীওয়ার্ড গুলা খুঁজে বের করুন এবং তার সার্চ ভলিউম দেখুন। যেটা আপনাকে এর মার্কেটসাইজ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারনা দিবে।
কী ওয়ার্ড রিসার্চ নিয়ে অভিজ্ঞতা না থাকলে এ বেপারে দক্ষ কারো সার্ভিস নিন। আমাদের টিম এ বেপারে আপনাকে সহায়তা করতে পারে।
আরও অনেক কিছু করা যেতে পারে কোয়ালিটিটিভ ভ্যালিডেশন এর জন্য, কিন্তু এই তিনটি জায়গাতে কাজ করলে আপনি মোটামুটি অনেক ভাল ধারনা পাবেন।